ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নিম্নস্বরের সীমারেখা কি?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وأما حد القراءة فنقول تصحيح الحروف أمر لا بد منه فإن صحح الحروف بلسانه ولم يسمع نفسه لا يجوز وبه أخذ عامة المشايخ هكذا في المحيط وهو المختار. هكذا في السراجية وهو الصحيح. هكذا في النقاية
নামাযের তেলাওয়াতের জন্য হরফ গুলি পরিস্কার ভাবে উচ্ছারিত হওয়া শর্ত। যদি হরফগুলি উচ্ছারিত হয়,তবে নিজে না শুনে তাহলে সেই তেলাওয়াত/কেরাত নামায বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না।এটাই সাধারণ মাশায়েখগণের সিদ্ধান্ত।(মুহিত)এবং এটাই পছন্দনীয় মত।এমনটাই সিরাজিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।এবং এটাই বিশুদ্ধতম মত।(নুকায়া) অর্থাৎ নিজে শুনতে হবে,নতুবা নামায বিশুদ্ধ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৬৯)
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2570
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় সিজদার স্থানের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। দৃষ্টি যদি অন্যকোনো দিকে থাকে, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না। সিজদার স্থান ব্যতিত অযথা অন্যদিকে দৃষ্টি রাখা মাকরুহ।
যদি কেউ তাকবীর মুখ দ্বারা ঠোট নাড়িয়ে উচ্ছারণ করে পড়ে, কিন্তু যদি সে নিজে শুনতে না পারে, তাহলে তা যথেষ্ট হবে না।
(২)
যোহর, আসর নামায একাকি পড়লে বা জামাতে পড়লে সর্বদাই নিম্নস্বরে কিরাত পড়া ওয়াজিব। তাকবীরগুলোও এই দুই নামাযে নিম্নস্বরে বলা ওয়াজিব। তবে ইমামের জন্য উচ্ছস্বরে পড়ার বিধান রয়েছে। জাযাকুমুল্লাহ।