বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুতরাং বিশেষ কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে
"হৃদরোগ দিবস"
"ডায়াবেটিস দিবস"
"হিজাব দিবস"
"মা দিবস"
ও নববর্ষ
ইত্যাদিউপালন করা কখনো বৈধ হবে না।
যদিও কাজটি ভালো হোক এবং জনসচেতনতার স্বার্থে হোক না কেন।
কেননা এগুলো কাজ ভালো হলেও এতে অনেক খারাবী রয়েছে।
যেমনঃ- এই সমস্ত দিবসকে ঈদের স্থানে নিয়ে আসা,কাফিরদের অনুসরণ, নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নানান সমস্যা এতে রয়েছে।
তাই দিবস পালনকে শরীয়ত কখনো সমর্থন দিতে পারেনা।
তবে জনসচেতনতার স্বার্থে দিন-তারিখ ঠিক না করে অন্য কোনো প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্টানে শরীক হওয়া আপনার জন্য জায়িয হবে না।
(২) নাজায়েয বলা হয়, কোনো কাজের ব্যাপারে। আর হারাম বলা হয় খাবারের ক্ষেত্রে। তবে উভয়ের অর্থ বা উদ্দেশ্য একই। তথা বিধাতা কর্তৃক নিষিদ্ধ।
(৩) হারাম খেলে ইবাদত কবুল হয় না অর্থ হল, ইবাদতের বরকত কমে যায়। তবে ৪০ দিনের নির্দিষ্ট করণ কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এবং কবুল না হওয়ার অর্থ আদায় না হওয়া নয়, বরং কবুল না হওয়ার অর্থ বরকত কমে যাওয়া।
(৪) কারও জন্মদিনে বা মৃত্যুবার্ষিকীতে খাবার খেলে ৪০ দিন ইবাদত কবুল হবে না। এটাকে এভাবে বলা উচিৎ হবে না। বরং এভাবে বলা যায় যে, জন্মদিনে বা মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্টানে শরীক হওয়া জায়েয হবে না। উক্ত খাবার খাওয়া হারাম নয়,তবে না খাওয়া উত্তম।
(৫) জন্মদিন, চল্লিশা, মৃত্যুবার্ষিকীতে খানা খেয়ে থাকলে কোনো সমস্যা নেই।তবে উক্ত অনুষ্টান সমূহে শরীক হওয়া যাবে না।উপভোগ করা যাবে না।
(৬) তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা যাবে।তার সাথে শেয়ারে ব্যবসা করাও যাবে।তবে তার সাথে শরীক হয়ে কুরবানি দেয়া যাবে না।জায়েয হবে না।