আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
আসসালামু আকাইকুম।
১#, অনেক সময় দেখা যায় যে উত্তেজনা বশত আঠালো তরল পদার্থ নির্গত হয় যার জন্য গোসল ফরয হয়।সহবাস ছাড়া এমনিতেই যদি এটা প্রায় ই হয় এতে তো বার বার গোসল সম্ভব না।এক্ষেত্রে কি করনীয়?
২#নামাজ গুলো কি পরে নিবো? কারন, সমস্যার মতো মনে হয়। আর নামাজ ছারলেই তো ছেড়ে দেওয়া।
৩# শায়খ, অনেক সময় দেখা যায় যে,স্বামীর জন্য ভালোবেসে কিছু করতে গেলে, এক্টু যত্ন নিতে গেলে হুট করেই মনের ভেতরে চলে আসে যে,মা যেমন  বাচ্চা কে যত্ন করে,, অই রকম কথা।কিন্তু স্বামী হিসিবেই যত্ন করতে যাই। হুট করে এসব কথা আসলে কি করনীয়?
৪# এসব কথা মনে আসার জন্য কি সমস্যা হবে কোনো?

1 Answer

0 votes
by (707,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)https://www.ifatwa.info/2179 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ  "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
المذي والمذي لغة: ماء رقيق يخرج عند الملاعبة أو التذكر ويضرب إلى البياض
মযী ঐ পাতলা পানিকে বলা হয়,যা নারী-পুরুষ এর অঙ্গাঙ্গী বা কামউত্তেজনার মূহুর্তে বের হয়,কিংবা সহবাসের কল্পনার মূহুর্তে বের হয়।যা সাধারণত সাদা কালের মতই হয়ে থাকে।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৬/৩১৪)
اتفق الفقهاء على أن خروج المذي ينقض الوضوء، وقال ابن المنذر: أجمع أهل العلم على أن خروج المذي من الأحداث التي تنقض الطهارة وتوجب الوضوء ولا توجب الغسل (٤) ، لحديث علي رضي الله عنه
সমস্ত ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে,মযী বের হলে অজু চলে যাবে।ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,উলামায়ের কেরামের ইজমা রয়েছে যে,মযী বের হলে অজু চলে যাবে।যেজন্য ইবাদত করতে হলে অজুর প্রয়োজন পড়বে।এক্ষেত্রে গোসলের কোনো প্রয়োজন নেই।কেননা হযরত আলী রাযি এর হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৬/৩১৬)

হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত
عن علي، قال: كنت رجلا مذاء فأمرت رجلا أن يسأل النبي صلى الله عليه وسلم، لمكان ابنته، فسأل فقال: «توضأ واغسل ذكرك»
তিনি বলেন,আমি অধিক মযী প্রসবকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একজন ছিলাম।যেহেতু আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দামাদ ছিলাম,তাই আমি একজন(মিকদাদ রাযি)কে দায়িত্ব দিলাম, যাতেকরে উনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।তিনি জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ সাঃ উত্তরে বলেন,তুমি অজু করো এবং তোমার লিঙ্গকে ধৌত করো।(সহীহ বোখারী-২৬৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মযি বের হলে অজু চলে যাবে ঠিক তবে গোসল ফরয হবে না। 

(২) জ্বী, অজু করে নামায পড়ে নিবেন। 
(৩) স্বামীর যত্ন নিতে গেলে হুট করেই মনের মধ্যে চলে আসে যে, মা যেমন তার বাচ্চা-কে যত্ন করে,, অই রকম কথা। এদ্বারা বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না। বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে মনে সর্বদা একথা রাখবেন যে, স্বামীর খেদমত করাও একটি সওয়াবের কাজ। 
(৪) কোনো সমস্যা হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...