ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
المذي والمذي لغة: ماء رقيق يخرج عند الملاعبة أو التذكر ويضرب إلى البياض
মযী ঐ পাতলা পানিকে বলা হয়,যা নারী-পুরুষ এর অঙ্গাঙ্গী বা কামউত্তেজনার মূহুর্তে বের হয়,কিংবা সহবাসের কল্পনার মূহুর্তে বের হয়।যা সাধারণত সাদা কালের মতই হয়ে থাকে।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৬/৩১৪)
اتفق الفقهاء على أن خروج المذي ينقض الوضوء، وقال ابن المنذر: أجمع أهل العلم على أن خروج المذي من الأحداث التي تنقض الطهارة وتوجب الوضوء ولا توجب الغسل (٤) ، لحديث علي رضي الله عنه
সমস্ত ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে,মযী বের হলে অজু চলে যাবে।ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,উলামায়ের কেরামের ইজমা রয়েছে যে,মযী বের হলে অজু চলে যাবে।যেজন্য ইবাদত করতে হলে অজুর প্রয়োজন পড়বে।এক্ষেত্রে গোসলের কোনো প্রয়োজন নেই।কেননা হযরত আলী রাযি এর হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৬/৩১৬)
হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত
عن علي، قال: كنت رجلا مذاء فأمرت رجلا أن يسأل النبي صلى الله عليه وسلم، لمكان ابنته، فسأل فقال: «توضأ واغسل ذكرك»
তিনি বলেন,আমি অধিক মযী প্রসবকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একজন ছিলাম।যেহেতু আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দামাদ ছিলাম,তাই আমি একজন(মিকদাদ রাযি)কে দায়িত্ব দিলাম, যাতেকরে উনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।তিনি জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ সাঃ উত্তরে বলেন,তুমি অজু করো এবং তোমার লিঙ্গকে ধৌত করো।(সহীহ বোখারী-২৬৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মযি বের হলে অজু চলে যাবে ঠিক তবে গোসল ফরয হবে না।
(২) জ্বী, অজু করে নামায পড়ে নিবেন।
(৩) স্বামীর যত্ন নিতে গেলে হুট করেই মনের মধ্যে চলে আসে যে, মা যেমন তার বাচ্চা-কে যত্ন করে,, অই রকম কথা। এদ্বারা বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না। বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে মনে সর্বদা একথা রাখবেন যে, স্বামীর খেদমত করাও একটি সওয়াবের কাজ।
(৪) কোনো সমস্যা হবে না।