আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
১) ২-৩ বছর আগে আমার বয়স তখন ১২-১৩ তখন আমি নামাজ খুব তাড়াতাড়ি পড়তাম এবং নামাযে মনোযোগ রাখতে পারতাম না। তাই আব্বুর পরামর্শ অনুযায়ী আমি সুরা ফাতিহা ও যেগুলা পারি সেগুলার আরবির সাথে সাথে বাংলা অর্থ পড়তাম ।সমস্যা হচ্ছে আমি তখন ছোটছিলাম এবং আমি আসলে জানতাম না মনে মনে কিভাবে পরে তাই আমি প্রথমে ইমাম সাহেব আরবি পড়লে পরের আয়াত শুরুর মাঝের সময়ে আস্তে আস্তে বাংলা অর্থ পড়তাম। আমার এক মামা জানতে পেরে বললেন আমি আরবি তে আয়াত পড়া শেষে আস্তে আস্তে সেই আয়াতের অর্থ বাংলায় পড়তাম বলে নাকি আমার নামাজ হবে না । এখন আমার প্রস্ন হচ্ছে সত্যিই কি আমার কোনও নামাজ হয়নি ? এবং যদি না হয়ে থাকে তাহলে  আমার তো এত আগের ঘটনা ঠিক মত মনেও  নেই যে কবে আমি বাংলা অর্থ পড়া শুরু করেছিলাম এবং কবেই বা বাদ দিয়েছিলাম ।আমার কোন ধারনাই নেই কত রাকাত নামাজ হয়নি...এখন আমার করনীয় কি?

২) নফল সালাতে কী মনোযোগ বৃদ্ধিতে কি একটু জোরে জোরে তিলাওয়াত করা যাবে?

৩) কবেকার ঘটনা মনে নাই ...আমাদের স্কুলে আমরা সবাই টিফিন একসাথে খেতাম । একদিন আমার এক ক্রিস্টিয়ান সহপাঠী আমাদের একটা স্যান্ডউইচ খেতে দেয় । তারপর বলে এর মধ্যে নাকি শুকরের মাংস ছিল ।তখন আমি ততটা পাত্তা দেই নি কারন সে এমনিতে একটু বেশি মজা করত তাছাড়া যতদূর মনে পরে স্যান্ডউইচটি তে কোন মাংসই ছিলনা । এখন এতবছর পড় মনে পরে টেনশন হচ্ছে ।।এখন আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) যেহেতু ইমাম আবু-হানিফার এক কওল তথা বক্তব্য অনুযায়ী আরবী ব্যতিত অন্যান্য ভাষার কুরআন তরজমা নামাযে পড়া যায়, এবং হানাফি মাযহাব ব্যতিত অন্যান্য মাযহাব অনুযায়ী নামাযে মুক্তাদির জন্য কিরাত পড়ার অনুমোদন রয়েছে, তাই আপনার নামায বাতিল হবে না। তবে ভবিষ্যতে আপনি আর এরকম করবেন না। বরং সর্বদা ইমামের পিছনে কিরাত না পড়ার চেষ্টা করবেন। জাযাকুমুল্লাহ। 

(২) জ্বী, নফল নামাযে মনযোগ বৃদ্ধির জন্য আপনি জোরে জোরে তিলাওয়াত করতে পারেন। 

(৩) যেহেতু তাতে কোনো মাংস ছিল না, এবং হয়তো সে মজা করে বলেছে, তাই এই স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, যদি স্যান্ডউইচে শুকুরের মাংস থেকেই থাকে, তাহলে এখন আপনার জন্য তাওবাহ ও ইস্তেগফার ব্যতিত আর কোনো রাস্তা খোলা নাই। আপনি আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তগফার করুন। অবশ্যই আল্লাহ তাওবাহ কে কবুল করেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...