بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
প্রশ্নকারী প্রিয় দীনি ভাই/বোন!
যদি কোন ব্যক্তি হারাম মাল থেকে কাউকে হাদিয়া দেয়,
এবং এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকে বা প্রবল ধারণা হয় যে, সে হারাম মাল থেকে হাদিয়া
দিয়েছে,তাহলে উক্ত হাদিয়া গ্রহণ করা ও তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নেই। বরং তা সদকা করে
দিবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1900
https://ifatwa.info/19554/
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা
ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া
দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো
হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো
সুযোগ নেই।
তবে হারামের আধিক্যের সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে
হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো
হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো
সুযোগ নেই।তবে হালালের আধিক্যের সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে
হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে
হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে
না। আর ৩য় সুরতে জায়েজ হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম। এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।