ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অমুসলিমদের উৎসবে কোনো মুসলিম কর্তৃক অন্য কোনো মুসলিমকে হাদিয়া দেয়া।যা কখনো জায়েয হবে না।কেননা তখন সেই মনগড়া উৎসব সমূহকে সম্মাণ প্রদর্শন করা হচ্ছে।যা তাদের ধর্মকে সাহায্য করারই নামান্ত।সুতরাং তা কখনো কোনো মুসলমানের জন্য বৈধ হতে হবে না।
ইমাম যায়লা'য়ী হানাফি রাহ(মৃত্যু-৭৪৩হি,)বলেন,
'আবুল বারাকাত নাসাফী রাহ, রাহ বলেন,নাইরুয উৎসব এবং মেহেরজান উৎসব এর নামে হাদিয়া দেয়া নাজায়েয।'অর্থ্যাৎ এই দু'দিনের নামে কোনো কিছু হাদিয়া দেয়া হারাম,এমনকি তা কুফুরী।আবু-হাফস্ আল-কবীর রাহ. বলেন,যদি কোনো মানুষ পঞ্চাশ বছরেরর অধিক সময় আল্লাহ তা'আলার ইবাদত করে,অতঃপর নাইরুযের দিনে উক্ত দিনের সম্মানার্থে সে কাউকে একটি ডিমও হাদিয়্যা দেয়, তাহলে যেন সে কুফুরী করল, তার সমস্ত আ'মল বাতিল বলে সাব্যস্ত হবে।জা'মে আসগরের মুসান্নিফ রাহ লিখেন.যদি নাইরুয দিনে কেউ কাউকে হাদিয়্যা দেয়,এবং সে তা দ্বারা উক্ত দিনের সম্মানকে উদ্দেশ্য না নেয়,বরং সামাজিক প্রচলন হেতু এমনিতেই দেয়,তাহলে সে তখন কাফির হবে না।তবে তার জন্য উচিৎ হবে, সে যেন এমন কাজ বারবার না করে।কাউকে যদি কিছু দিতেই হয় তবে যেন সে ঐ দিনের পূর্বে বা পরে দিয়ে দেয়।যাতেঐ দিনের সাথে হাদিয়্যার কোনোপ্রকার সম্পর্ক না থাকে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।জা'মে আসগর কিতাবে আরোও বর্ণিত রয়েছে,এক ব্যক্তি নাইরুয দিনে কিছু ক্রয় করতে ইচ্ছুক যা সে উক্ত দিনের প্রথমে কখনো ক্রয় করেনি।যদি সে তা দ্বারা উক্ত দিনের সম্মান কে উদ্দেশ্য করে থাকে যেভাবে মুশরিকগণ করে থাকে, তাহলে সে কাফির হবে।আর যদি সে খানাপিনা ইত্যাদির উদ্দেশ্যে ক্রয় করে তাহলে সে তখন কাফির হবে না।(তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব-৬/২২৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ক্রিকেট ম্যাচ যদিও ভিন্ন কোনো ধর্মের ধর্মীয় কোনো অনুষ্টান নয়, তথাপি তাতে অনেক প্রকার হারাম ও নাজায়েয কর্মকান্ড জড়িত হওয়ার কারণে ইসলাম সমর্থিত নয়, সুতরাং এহেন নাজায়েয ও হারাম উৎসব উপলক্ষ্যে কোনো মুসলিম কম্পানি কর্তৃক প্রদত্ব কমিশন ও ভাতা বা অফার গ্রহণ করা কখনো কোনো তাকওয়াবান মুসলামানের জন্য উচিৎ হবে না। সুতরাং এত্থেকে অবশ্যই প্রত্যেককে বেচে থাকতে হবে।