আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
408 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
১.আমার তালাকের পূর্বে আমার সাবেক স্বামী একবার ফোনে আমাকে রাগের মাথায় বলেছিল,"তোকে তিনটার মধ্যে একটা দিলাম।"এতটুকু শুনেই আমি ফোন কেটে দেই।পরে ব্যাক করে কান্না করলে বলে,ভয় দেখিয়েছে,তালাক দেয়নি।
এরপর আরেক দিন বলে,তুই আমাকে ফোন দিলে অটো তালাক।আমি হুজুগে পরক্ষণেই ফোন দিয়ে রিসিভ করার পরপরই কেটে দেই।
এর আরো কয়েক মাস পর একদিন ঝগড়ার মধ্যে বলেছিল তোকে এক তালাক দিলাম।পরে সকালে বলে,"আমি একজন মুফতির সাথে কথা বলেছি।তালাক হয়নি"
এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে কি আমার তিন তালাক হয়েছিল?
পরবর্তীতে আমার ভরপোষণ না করা,শশুর বাড়িতে না নেয়া,চাকরি নিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা বলা,নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেয়া এরকম আরো কিছু কারণে আমি বিয়ের প্রায় তিন বছর পর কাজী অফিসে গিয়ে কাবিননামার ১৮ নং অনুচ্ছেদে দেয়া অনুমতির প্রেক্ষিতে তালাক গ্রহণ করি।কোনো কিছু মুখে উচ্চারণ করিনি,শুধু সাইন দিয়েছি।তালাকনামায় সাইনের পরেরদিন আমাকে ফোন দিলে আমি রিসিভ না করে অন্য জনকে দিয়ে রিসিভ করাই।এরপর এখন প্রায় ৮ মাস হয়েছে তালাক রেজিস্ট্রি হয়েছে।এর মাঝে কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করিনি।আমার সাবেক স্বামী মাঝে মাঝে বলত "তুমি নিলে নিতে পারো আমি দিতে পারব না।"তালাক নেয়ার ৭ মাস আগে থেকেই তার সাথে আমার ফিজিক্যাল রিলেশন ছিল না।আমি সন্দেহ থেকে পরবর্তীতে মুখে তালাক নেয়ার কথা উচ্চারণ  করেছি।আমার তালাক কি কার্যকর হয়েছে।আমার সাবেক স্বামী যদি কখনো এসে অনুমতি দেয়ার কথা অস্বীকার করে তাহলে কোনো সমস্যা হবে যদিও কাবিননামায় ১৮ নং অনুচ্ছেদে লিখা আছে।এখন আমি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা আছে কী?থাকলে করণীয় কী?আর আমার তালাক যদি সংসার করা অবস্থায়ই উপরে উল্লিখিত ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে  হয়ে  থাকে তাহলে এখন আমার করণীয় কী?উল্লেখ্য উনি আমার মোহরানা পুরোপরি শোধ করেননি এবং আমাকে তিন বছর বাবার বাসায় রেখেছিল,উনাদের বাড়িতে নেননি।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়ার প্রমাণ হলো,হাদীসে বর্ণিত রয়েছে
عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك
অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন,আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি এসে বলেন-‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন,তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর;[তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী-“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে।
{সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উপরোক্ত বিবরণ অনুযায়ী আপনার উপর তিন তালাক পতিত হয়ে গেছে। আপনি তালাক গ্রহণ না করলেও আপনার উপর তিন তালাক পতিত হত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
...