ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবু-উমামাহ রাযি থেকে বর্ণিত
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ بِشْرٍ ، بِطَرَسُوسَ ، كَتَبْنَا عَنْهُ قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرٍ قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُولِ الْجَنَّةِ إِلَّا أَنْ يَمُوتَ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে,তার জান্নাতে প্রবেশ করাতে মৃত্যু ব্যতীত আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নাই(সুনানে কুবরা-৯৮৪৮,তাবারানি কাবির-৭৫৩২,ইবনুস-সুন্নি- আ'মলুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইল-১২৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পড়ার কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে।
আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফুঁ দেওয়ার কথা হাদীসে উল্লেখ নেই।
এটি কিছু বুযুর্গানে দ্বীনের আমল।
সুতরাং আবশ্যকীয় মনে না করে এটি করা যাবে।
তবে এটিকে আবশ্যকীয় বা সুন্নাহ মনে করে করা হলে বিদ'আত হবে।
,
(০২)
তাওফিমা শব্দের অর্থ খুজে পাইনি।
,
تَرَنُّم [رنم]
[তারন্নুম] শব্দের অর্থঃ
সুর,সুরেলা আবৃত্তি,সুরেলা আওয়াজ,গানকরণ,গুনগুনানি।
তাম্মি নামের অর্থ হিসেবে পেয়েছিঃ উপযুক্ত, বন্ধুত্বপূর্ণ, ভাগ্যবান, স্বাভাবিক।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত নাম না রাখাই উচিত।
ছাহাবায়ে কেরামদের নামে নাম রাখতে পারেন।
(০৩)
مُسْنَد ج مَسَانِيد [سند]
[মুস্নাদ] শব্দের অর্থঃ
(অলঙ্কারশাস্ত্রে) বিধেয় বা ক্রিয়া; সনদযুক্ত (হাদীস)
যে হাদীসগ্রন্থে প্রত্যেক সাহাবীর বর্ণিত হাদীসসমূহ স্বতন্ত্রভাবে সঙ্কলিত হয়েছে
ধারাবাহিক সনদযুক্ত হাদীস।
আহমদ দ্বারা এখানে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ উদ্দেশ্য।
সুতরাং এর পূর্ণ অর্থঃ
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর সনদযুক্ত (হাদীস)।
(০৪)
মাগরিবের আযানের পর ফরজের আগে নফল নামাজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَن عَبد اللَّهِ بْنِ بُرَيدة، عَن أَبيهِ، رَضِي اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيه وَسَلَّم قَالَ: بين أَذَانَيْنِ صَلاةٌ إلاَّ الَمْغَرِب
হযরত আব্দুল্লাহ বিন বারিদাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-প্রতিটি দুই আজান [আজান ও ইকামত] এর মাঝে [নফল] নামায আছে মাগরিব নামায ছাড়া। {মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪৪২২,আলমুজামুল আওসাত,হাদীস নং-৮৩২৮,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১০৪০, সুনানে কুবরা বায়হাকী, হাদীস নং-৪১৭২}
,
আরো জানুনঃ
,
★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এসময় নফল নামাজ পড়ার অনুমোদন রয়েছে।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।