আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
শায়খ
আমাদের সমাজে সালাম ও সালামের উত্তরে আমরা অনেক ভুল দেখতে পাই। সালাম দেওয়া সুন্নত এবং উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।

১)সেক্ষেত্রে কেউ যদি ভুলভাবে সালামের উত্তর দেয় যেমন ওয়ালাইকুম সালাম বা অলাইকুম সালাম তাহলে তো ওয়াজিব আদায় হলোনা। সেক্ষেত্রে কি উত্তর দানকারী গুনাহগার হবে?

২) আমরা যারা সঠিকটা জানি তাদের কি করা উচিৎ? সবসময় সবাইকে তো ঠিক ভাবে শিখিয়ে দেওয়ার সুযোগ ও অবস্থা থাকেনা। আবার শিখিয়ে দেওয়ার পর ও অনেকে ভুল করে।
৩) কাউকে এভাবে ভুল করতে দেখলে তাকে শিখিয়ে না দিলে কি আমরা যারা জানি তারা গুনাহগার হবো?

JajakAllahu khairan.

1 Answer

+1 vote
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়ার কথা হাদীসে এসেছে,যেমন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবীজী সাঃ কে প্রশ্ন করল,ইসলামের মধ্যে কোন কাজ সর্বোত্তম?
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﺳﺄﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻱ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺧﻴﺮ ﻗﺎﻝ ﺗﻄﻌﻢ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻭﺗﻘﺮﺃ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻋﺮﻓﺖ ﻭﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻟﻢ ﺗﻌﺮﻑ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﺍﻻﺳﺘﺌﺬﺍﻥ » ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻟﻠﻤﻌﺮﻓﺔ ﻭﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻌﺮﻓﺔ
নবীজী সাঃ প্রতিউত্তরে বললেনঃপরিচিত অপরিচিত সবাইকে খাদ্য খাওয়ানো এবং (মুসলিম মনে হলে) সালাম প্রদান করা।(সহীহ বুখারী-৫৮৮২)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
সালাম প্রদানের জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সালাম দেয়া সুন্নাত।তাই আমারা পরিচিত/অপরিচিত সবাইকে সালাম দিবো।জবাব কার উপর ওয়াজিব হচ্ছে সেটা আমার  দেখার বিষয় নয়।বরং সালাম দেয়াটা যে সুন্নাত সেটাই বিবেচ্য।

উত্তর দেয়া ওয়াজিব সেটা শরীয়তের পক্ষ থেকে সালামপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর আপতিত হয়েছে।এখানে আমার কোনো হস্তক্ষেপ নেই।সালাম দেয়ার কথা শরীয়ত আমাকে বলেছে,তাই আমি সালাম দিয়েছি। আমি সেই দায়িত্ব সুন্নাতকে পালন করেছি।জবাব দেয়ার কথা শরীয়ত তাকে বলেছে, সে তার  দায়িত্বকে অন্যান্য দায়িত্বরের মত পালন করবে।

যেমনঃমুওয়াজ্জিন আযান দিলে ফে'লী তথা মসজিদে যাতায়াতের মাধ্যমে জবাব প্রদান করা ওয়াজিব হয়ে থাকে।এখানে এ কথা বলা যাবে না যে, মুওয়াজ্জিন কেন আযান দিয়েছে? যদি সে আযান না দিতো তাহলে আমার উপর নামায ফরয হতে না বা মসজিদে যাওয়া ওয়াজিব হতে না।মুওয়াজ্জিন সে তার দায়িত্ব পালন করেছে। মুসাল্লি সে তার দায়িত্ব পালন করবে।উভয়ের দায়িত্ব আলাদা আলাদা।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জ্বী, উত্তর দানকারী ওয়াজিব তরক কারী হিসেবে গোনাহগার হবে। 
(২) সময় সুযোগ থাকলে সঠিক উচ্ছারণের সালাম শিখিয়ে দেওয়া অত্যান্ত জরুরী। 
(৩) কাউকে এভাবে ভুল করতে দেখলে অবশ্যই শিখিয়ে দেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য। শিখিয়ে না দিলে গোনাহ হবে না। তবে শিখিয়ে দেওয়া অত্যান্ত সওয়াবের কাজ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...