ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) না, এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। এক দেশের বুলি এবং অন্য দেশের গালি। সুতরাং এদ্বারা কোনো সমস্যা হবে না।
(২) স্বামীর হাতে একটি বস্তু আছে বস্তুটিকে ছেড়ে দিয়ে বা ছেড়ে দিবে তখন যদি স্ত্রীকে বলে ছেড়ে দিছি বা ছেড়ে দিলাম এমন কথায় তালাক পতিত হবে না।
(৩)স্বামী স্ত্রীকে মহব্বতের সহিত জড়িয়ে ধরল তখন স্ত্রী বলল যে আজকের মত আমাকে ছাইড়া দাও বা আমাকে ছাইড়া দাও বা ছাইড়া দাও তখন স্বামী যদি প্রতি উত্তরে বলে আচ্ছা ঠিক আছে , তাহলে এদ্বারাও তালাক পতিত হবে না।
(৪) শশুড়ের গোনাহ হবে। তারা স্বামী স্ত্রীর কারো কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
(৫)
শুধুমাত্র মা বললে যিহার হবে না। বরং মা বা মায়ের কোনো অঙ্গের সাথে স্ত্রীকে তাশবিহ বা উপমা দিতে হবে।হ্যা এটা অবশ্যই ঠিক যে স্ত্রীকে মা,মেয়ে,বোন ইত্যাদি বলে ডাকা মাকরুহ।
كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই।তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে।{ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫} বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/102
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মায়ের গুন নিয়ে বা উচ্চতা নিয়ে কিংবা কোন খারাপ অভ্যাস নিয়ে বউকে মায়ের সাথে তুলনা করলে যিহার হবে না।
স্বামী যদি বউকে বলে ”ছোটবেলায় মার মাথায় যখন হাত বুলাতাম মার চুলে তেল দেওয়া থাকতো অনেক মসৃণ ও কোমল ছিল, তোমার চুলগুলো কেমন যেন মার চুলের মত সিল্কি না” এরূপ কথায়ও যিহার হবে না।
”মা বাড়িতে যেইভাবে চইলা আসছে আজীবন সেই ভাবে চলবা মানে মায়ের মত হবা বা চলবা” এরূপ বলায় যিহার হবে না।