আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
530 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম, "কোন এক দম্পতি প্রায় ঝগড়া করে, ২ টি সন্তান আছে, কাবিন নামায় স্ত্রী এর তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে, সেই অধিকার বলে সংসার খরচ, না দেয়াতে ধারাবাহিক ভাবে এবং আরো অন্যান্য খারাপ কাজের জন্য স্ত্রী স্বামীকে তালাক নামা পাঠায় তিন মাস আলাদা থাকে অন্য এলাকায়, এর পড় একসাথে থাকা শুরু করে মুরুব্বীদের কথায়, তার ২ মাসের মধ্যে আবার প্রচন্ডরকম ঝগড়া হয় এবং স্বামীকে বেড় করে দেয় স্ত্রী। প্রায় ৯ মাস তাদের চোখের দেখাও হয় নাই। এর মধ্যে উকিলের কাছে যায় স্ত্রী, উকিল জানায় আগের তালাকনামা ই বহাল থাকবে নতুন করে করা লাগবে না। প্রায় ৯ মাস পড়ে স্বামী মুরব্বিদের নিয়ে বসে মাফ চায় এবং সংসার করতেছে। এখন তাদের কি তালাক সম্পন্ন হয়ে গেছে? নাকি তাদের সংসার শরিয়ত মোতাবেক ঠিক আছে?

1 Answer

+1 vote
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকে, এবং স্ত্রী নিয়মমত তথা সে তার নিজের উপর তালাক দিয়ে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে যে, তারা ঘর সংসার করেছে, এরজন্য তাদের গোনাহ হবে। কেননা তারা আর স্বামী স্ত্রী হিসেবে থাকেনি। তাই তাদের জন্য একত্রে থাকা জায়েয থাকেনি। 

তবে হ্যা যদি ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়,এবং কোনো কারণে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়,তখন আবার সে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে ব্যতীত আবার ঐ স্বামীর সাথে সংসার স্থাপন করলে সেটা বৈধ হবে না।এক্ষেত্রে সর্বদাই ব্যভিচারের গোনাহ হবে। আর বিবাহিত পরুষ বা মহিলা কর্তৃক ব্যভিচার প্রমাণিত হলে এর শাস্তি হল,পাথর মেরে হত্যা করা।তবে এ দায়িত্ব সরকারের জনগণের নয়।আর অাখেরাতে তো রয়েছে এর জন্য  ভয়ঙ্কর শাস্তি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম, ধন্যবাদ মুফতী ইমদাদুল হক ভাই কে। আমার এই মাসালা টা নিয়ে কিছু দ্বিধা ছিলো তা দূর হয়ে গেলো। আমি উপকার পেলাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...