আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।
আশাকরি ভালো আছেন।
আমার প্রশ্ন হলোঃ
আমার চাচাতো ভাই উনার স্ত্রীকে রাগের মাথায় এক বৈঠকে তিন তালাক দিয়েছেন।
এখন উনিও আফসোস করছেন "কেন তালাক দিলেন"।
কিন্ত বর্তমান আলেম রা বলে থাকেন এক বৈঠকে তিন তালাক হয়ে যায়।
এখন কোরআন,হাদিস,ইজমা,কিয়াস মতে কি কোনো
এখন আমাদের মাযহাব এবং অন্যান্য মাযহাব মতে কি এর  কোনো প্রতিকার আছে।
জানলে উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/222 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়ার প্রমাণ হলো,হাদীসে বর্ণিত রয়েছে
عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك
অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন,আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি এসে বলেন-‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন,তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর;[তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী-“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে।{সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে তালাকে মুগাল্লাজা হয়ে গেছে। তাদের মধ্যকার স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত। সুতরাং এখন তারা আর একত্রে বসবাস করতে পারবেন না। 
তবে হ্যা যদি ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়,এবং কোনো কারণে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়,তখন আবার সে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে ব্যতীত আবার ঐ স্বামীর সাথে সংসার স্থাপন করলে সেটা বৈধ হবে না।এক্ষেত্রে সর্বদাই ব্যভিচারের গোনাহ হবে। আর বিবাহিত পরুষ বা মহিলা কর্তৃক ব্যভিচার প্রমাণিত হলে এর শাস্তি হল,পাথর মেরে হত্যা করা।তবে এ দায়িত্ব সরকারের, জনগণের নয়।আর আখেরাতে তো রয়েছে এর জন্য  ভয়ঙ্কর শাস্তি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...