বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ওয়াদাকে পূর্ণ করা জরুরী।বিশেষ করে আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদাকে পূর্ণ করা আরো বেশী জরুরী।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
অথচ তারা পূর্বে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না। আল্লাহর অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। (আল আহযাব: ১৫)
(২)
প্রতি ওয়াক্তের পৃথক পৃথক মুস্তাহাব ওয়াক্ত রয়েছে।ফজরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,এবং এটাই তার আওয়াল ওয়াক্ত।জোহরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,এবং আসরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,মাগরিব ও এশার নামযকে ওয়াক্তের প্রথমে পড়া মুস্তাহাব।
এগুলো বুঝা ও বুঝানো অনেকটা মুশকিল বিষয়।সহজভাবে বলা যায় যে,আমাদের দেশে যে ওয়াক্তের যখনই আযান হয়,আযান পরবর্তী জামাতের সাথে নামায আদায় করা বা ঐ সময়ে ঘরে বা অন্য কোথাও নামায আদায় করা মানে আওয়াল ওয়াক্তেই আদায় করা। আওয়াল ওয়াক্ত কোনো বিশেষ সময় বা সেকেন্ড মিনিটের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
(৩)
ফজরের পর নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসলামিক বই ( যেমন - সীরাহ ) পড়ে ইশরাকের সালাত আদায় করা যাবে।
আর এর মাঝে দুনিয়াবি কাজকর্ম করলে এটার ক্ষেত্রে কি সালাতুদ দ্বোহার নিয়ত করতে হবে না বরং ইশরাকের নিয়ত করলেই হবে।হ্যা,সওয়াবে কিছুটা তারতম্য হবে।
(৪)
অভিভাবক ব্যতিত বিয়ে সংগঠিক হবে কি না? সে সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।হানাফি ফিকহ মত কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিয়ে সংগঠিত হয়ে যায়। তবে অন্যান্য মাযহাব মতে বিয়ে সংগঠিত হবে না।