ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিভিন্ন দিবস যা নির্দিষ্ট তারিখে বৎসরান্তে একবার আমাদের সামনে ঘুরে আসে।লক্ষ করলে দেখা যাবে,দিবসসমূহ এবং ঈদের মধ্যে অদ্ভুত এক মিল আছে অর্থ্যাৎ যেভাবে হিজরী তারিখ অনুযায়ী প্রতি বৎসর একবার করে আমাদের সামনে দু'টি ঈদ ঘুরে আসে ঠিক তেমনিভাবে ঐসমস্ত দিবসগুলোও আমাদের সামনে ঘুরে আসে।কেননা ঈদ অর্থ-ই হচ্ছে বারংবার ঘুরে আসা যা আরবী শব্দ عود থেকে সংগ্রহীত ও রুপান্তিত, এর বাংলা অর্থ হচ্ছে বারংবার ঘুরে আসা।যেহেতু ঈদ বারংবার আমাদের সামনে ঘুরে আসে বিধায় তাকে ঈদ বলা হয়,আর হুবহু এই অর্থ বর্তমান প্রচলিত দিবস সমূহে পাওয়া যায়।
ইসলামে ঈদ বা বৎসরান্তে ঘুরে আসা দিবস সমূহের মধ্যে দু'টি ঈদ সহ আরো ও দু'একটি দিবস আছে।
যা কোরআন-হাদীস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত যেমনঃ-
(ক)ঘুরে আসা সাপ্তাহিক শুক্রবার দিবস যা মুসলমানদের নিকট ঈদ সমতুল্য।
(খ)আশুরার দিবস।
(গ)এবং অনির্দিষ্ট লাইলাতুল ক্বদর রজনী।
এছাড়া ইসলামে আর চতুর্থ দিবস বলতে নেই।
এবং এ মর্মে কোনো প্রমান ও নেই যে, ভবিষ্যতে মানবতা বা দ্বীনী প্রয়োজনে কোন প্রকার দিবস পালন করা যাবে।
বরং ইসলামে জাহিলিয়্যাতের বিভিন্ন দিবসসমূহ যেমনঃ- নাইরুয/মেহেরজান ইত্যাদি কুসংস্কারকে বলিষ্ঠকন্ঠে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো প্রকার দিবস পালন করার সুযোগ ইসলামে নাই। সুতরাং স্পেশাল কিছু খাওয়া এবং উপহার দেওয়া এবং কাফিরদের অনুসরণ করার কোনো সুযোগ নাই।