ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামায:
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে নামায ফাসিদ হবে না।
(২)
নামায পড়ার স্থানে যদি এক দিরহাম থেকে বেশী রক্ত লেপ্টানো থাকে,তাহলে নামায হবে না।কেননা,শরীর থেকে পৃথক হওয়ার পর সেই রক্ত নাপাক।আর নামায বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হল, জায়গা পবিত্র হওয়া।
চুল কাটা:
(১)
চুল কাটার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে যে,যাতেকরে মাথার চুলের সব জায়গা সমান থাকে।নতুবা জায়েয হবে না।হ্যা,অল্প পরিমাণ বেশকম থাকলে তাতে কোনো সমস্যা হবে না।
টাকা ধার ও দান বিষয়ক:
(১)
জ্বী,যা লাভ হবে তার অর্ধেক আপনার এবং অর্ধেক তার, এমন শর্তসাপেক্ষে কাউকে টাকা দিতে পারবেন।এটা তখন মুদারাবা হিসেবে বিবেচিত হবে।তবে শর্ত হল,লোকশানেও আপনি শরীক থাকবেন।অর্থাৎ সম্পূর্ণ টাকা আপনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে,এমন শর্ত রাখা যাবে না।বরং আপনি লোকশান হলে তাতেও শরীক থাকবেন।
(২)
হারাম টাকা দানের জন্য সে ব্যক্তি কোনো প্রকার সওয়াবই পাবে না।হ্যা, হারাম থেকে দ্বীনের পথে আসার জন্য সে অবশ্যই সওয়াব পাবে।
বই ধার:
(১)
বই কিনে বিনা টাকায় কাউকে কয়েকদিনে পুরো বই পড়ার জন্য বই ধার দিলে এতে করে প্রকাশনী বা লিখকের হক নষ্ট হবে না।কেননা এখানে কারো ক্ষতি করা মুখ্য উদ্দেশ্য নয় বরং মুখ্য উদ্দেশ্য হল, কোনো একজনের নিকট জ্ঞানের আলো পৌছানো।
(২)
যেকোনো মাস'আলা মাসাঈল ও আকিদা এবং ইসলামি ইতিহাস বই কোনো বিজ্ঞ আলেমের তত্ত্বাবধানে পড়া উচিৎ।হ্যা,ফযিলত ও দু'আ এবং যিকির ও কুরআন তিলাওয়াত একাকি পড়া যায়,তবে কঠিন বিষয়গুলোকে কারো তত্ত্বাবধানেই পড়া উচিৎ।