ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এক্ষেত্রে সমাধান হল,বিয়ে করে নেয়া।মোহরের টাকা প্রদানের ক্ষমতা থাকলে আপনার বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনার উপর বিয়ে করা ফরয হয়ে গেছে।সুতরাং আপনি অন্যকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বিয়ের দিকে অগ্রসর হবেন।বিয়ে করা এখন আপনার উপর ফরয। যৌনক্ষমতা আল্লাহর বিশেষ এক নিয়ামত।তাই সেই ক্ষাতাকে প্রশমিত করা উচিৎ হবে না।বরং শুকরিয়া আদায় স্বরূপ এর সদ্ব্যবহার করাই কাম্য।
যদি শতচেষ্টার পর কোনো কারণে বিয়ে করা অসম্ভব হয়,তাহলে যৌনক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে এক্ষেত্রে রোযা রাখাই নির্দিষ্ট। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহরের টাকা থাকলে এখন আপনার উপর বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী বিয়ে করা ফরয। এমনকি বিয়ে করার চেষ্টা করাও ফরয। যদি মহরের সমার্থ্য না থাকে, তাহলে আপনি রোযা রাখবেন। রোযা রাখা আপনার উপর ফরয। হস্তমৈথুন করা কবিরাহ গোনাহ। গোনাহ থেকে বাছতে কেউ কেউ অনুমোদন দিলেও তা কিন্তু সমাধান নয়। সুতরাং আপনি দ্রুত বিয়ে করে ফেলুন। এর পূর্ব পর্যন্ত নামায কাযা হলে অবশ্যই আপনার গোনাহ হবে।