ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কার্টুনের ছবি আর কার্টুনের ভিডিওর হুকুমে পার্থক্য রয়েছে। ছবির বেলায় হুকুম শক্ত।আর ভিডিওর বেলায় কিছুটা শীতিল।যাইহোক ছবিতে হোক বা ভিডিওতে হোক। সর্বাবস্থায় প্রাণীর ফটো বা ভিডিও এবং কার্টুনের ফটো বা ভিডিও হারাম ও নাজায়েয।
তাসবীর বা ফটো হারাম।এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে।তন্মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করছি-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও। [সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/2253 তবে শিক্ষার স্বার্থে কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম,প্রাণীর ফটো বা ভিডিওর বেলায়,এবং কার্টুনের ভিডিও বা ফটোর বেলায় রুখসত দিয়ে থাকেন।
মোটকথাঃ
ছবি, ফটো,ভিডিও বা ভাস্কর্য সবই হারাম।শুধুমাত্র শিক্ষার প্রয়োজনে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম অনুমোদন দিয়ে থাকেন। যেখানে বৈধতার ফাতাওয়া দেখেছেন,সেখানে মূলত শিক্ষাকার্যক্রম জড়িত। জাযাকুমুল্লাহ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) শিক্ষার জন্য হলে কিছু কিছু ফুকাহা কার্টুন দেখার অনুমোদন দিয়ে থাকেন। নুতবা কার্টুন হারাম ও নাজায়েয হিসেবেই বিবেচিত হবে।
(২) জ্বী, কার্টুন বানানো নাজায়েয, যেমন মুর্তি বানানো নাজায়েয, তবে মুর্তি দেখা যেভাবে নাজায়েয নয়, সেভাবে কার্টুন দেখাও নাজায়েয হওয়ার কথা নয়, কিন্তু যেহেতু তাতে নারী মুর্তি থাকে, এবং মিউজিক থাকে, তাই কার্টুন দেখার আমভাবে কোনো অনুমোদন নাই। হ্যা, শিক্ষার প্রয়োজনে কার্টুন দেখা জায়েয হবে।
(৩)
মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে। যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."
প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ।যখন কোনো ছবির অাকৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না।(সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)