ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﻟِﺮَﺟُﻞٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺳِﻦٌّ ﻣِﻦْ ﺍﻹِﺑِﻞِ ﻓَﺠَﺎﺀَﻩُ ﻳَﺘَﻘَﺎﺿَﺎﻩُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﻓَﻄَﻠَﺒُﻮﺍ ﺳِﻨَّﻪُ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺠِﺪُﻭﺍ ﻟَﻪُ ﺇِﻻ ﺳِﻨًّﺎ ﻓَﻮْﻗَﻬَﺎ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ( ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﻗَﻀَﺎﺀً )
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জনৈক ব্যক্তির একটি বাচ্ছা বয়সী উট পাওনা ছিলো,অতঃপর যখন সে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে এসে তা চাইলো।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ উনার পাওনা উনাকে বুঝিয়ে দাও।সাহাবায়ে কেরাম (সদকার মালের মধ্যে খুজে)উক্ত ব্যক্তির পাওনা কমবয়সী উট পেলেন না।বরং তার থেকে একটু বেশী বয়সী উট পেলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ তোমরা তা তাকে দিয়ে দাও,কেননা তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে ঋণ পরিশোধের সময় উদারতা প্রদর্শন করে।তথা অতিরিক্ত দিয়ে দেয়।(সহীহ বুখারী-২৩৯৩,সহীহ মুসলিম-১৬০০)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ
যদি জোরজবরদস্তি করে বা চুরি করে কারো টাকাকে আত্মসাৎ করা হয়ে থাকে,তাহলে ঐ টাকার বর্তমান ভ্যালু অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে।যেমন আপনার বিবরণ অনুযায়ী ১৯৪ টাকা পরিশোধ করতে হবে।তবে যদি পারস্পারিক সম্মতিতে অনুষ্টিত কোনো লেনদেন বা করযে হাসানার কোনো টাকা কারো নিকট বাকী থাকে,তাহলে বর্তমানে পরিশোধের সময়,উভয় লেনদেনকারী নিজ নিজ সম্মতিতে কমবেশ করে সমাধা করতে হবে।যেমন আপনার বিবরণ অনুযায়ী ১৪৫ বা তার চেয়ে কমবেশ করে উভয়ের সম্মতিতে পরিশোধ করতে হবে।কিন্তু যদি বেশকম এক তৃতীয়াংশের বেশী না হয়,অর্থাৎ ১০০টাকা টি ১৩৩ বা তার থেকে বেশী বাজারমূল্য না হয়,তাহলে পরিশোধের সময় হবহু সেই টাকাকে অর্থাৎ ১০০টাকাকে পরিশোধ করতে হবে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবার সাথে যদি আপনার চাচির পারস্পারিক সম্মতির সাথে উক্ত লেনদেন হয়ে থাকে, তাহলে এখন আপনারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উক্ত ঋণ থেকে একটু বেশী দিয়ে দেন, এটা সুদ হবে না। এবং এটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।