ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমত অমুসলিম দেশে লেখাপড়া করাও সর্বক্ষেত্রে অনুমোদিত নয়। বরং শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনেই অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে।
তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই। তবে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বা মুসলিম দেশে চাকুরীর কোনো ব্যবস্থা না হলে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ভিজিট করুন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ হারাম ও নাজায়েয । সুতরাং আপনি সুদ নিতে পারবেন না। হ্যা, যদি এমন হয় যে, কেউ ইসলাম ও মুসলামানের স্বার্থে অমুসলিম দেশে এমন কোনো শিক্ষা অর্জন করতে চায়, যা মুসলিম কোনো দেশে সাধারণত পাওয়া যায় না, এবং সে উক্ত শিক্ষা অর্জনের জন্য সুদে ঋণ গ্রহণ করতে অপারগ হয়ে যায়, তাহলে এমতাবস্থায় সুদে ঋণ গ্রহণ করার রুখসত কিছু কিছু ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন। নতুবা সাধারণত সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণের কোনো সুযোগ নাই।
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯; বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;)
এ বিধান শুধুমাত্র উক্ত বর্ণিত পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিদের জন্যে।সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না।(জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)