আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
247 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আস্সালামুয়ালাইকুম। আমি বিদেশে পড়তে চাচ্ছি কিন্তু আমার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব না। সে দেশে সরকার স্টুডেন্ট লোন দেয় যা প্রথম বর্ষ থেকেই 3% হারে সুদ শুরু হবে এবং পড়ালেখা শেষ করে যদি ইনকাম বছরে 26,500 $ টাকার উপরে হয় তাহলে 9% করে ইনকাম থেকে কেটে রাখবে সরকার, যদি এর কম হয় তাহলে কাটবে না. যেহেতু সুদ হারাম, এই ক্ষেত্রে পড়ালেখার জন্য নিলে কি তা না জায়েজ হবে.
এটা যেহেতু সরকারের একটি রুল. আমি তো পরিবর্তন করতে পারবো না, সেক্ষেত্রে অনেকেই বললেন নিতে পারি.
শাইখ, কিন্তু জেনে শুনে আমার কি এই সুদের টাকা নেয়া টা কি ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছি না.  জানালে অনেক উপকার হবে।

1 Answer

0 votes
by (589,290 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমত অমুসলিম দেশে লেখাপড়া করাও সর্বক্ষেত্রে অনুমোদিত নয়। বরং শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনেই অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে। 
https://www.ifatwa.info/3447 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই। তবে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বা মুসলিম দেশে চাকুরীর কোনো ব্যবস্থা না হলে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ভিজিট করুন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ হারাম ও নাজায়েয । সুতরাং আপনি সুদ নিতে পারবেন না। হ্যা, যদি এমন হয় যে, কেউ ইসলাম ও মুসলামানের স্বার্থে অমুসলিম দেশে এমন কোনো শিক্ষা অর্জন করতে চায়, যা মুসলিম কোনো দেশে সাধারণত পাওয়া যায় না, এবং সে উক্ত শিক্ষা অর্জনের জন্য সুদে ঋণ গ্রহণ করতে অপারগ হয়ে যায়, তাহলে এমতাবস্থায় সুদে ঋণ গ্রহণ করার রুখসত কিছু কিছু ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন। নতুবা সাধারণত সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণের কোনো সুযোগ নাই। 

বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯; বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;)

এ বিধান শুধুমাত্র উক্ত বর্ণিত পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিদের জন্যে।সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না।(জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...