আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
১৷ আমার আব্বু হজ্জ করে এসেছেন, খুবই ধার্মিক৷ তবে ওনার ময়লা-আবর্জনা বিষয়ে ঘৃণা কম৷ যেমন খালি হাত দিয়ে তেলাপোকা, পোকা মেরে ফেলেন; মশা মেরে হাতে মশার দাগ লাগলেও গুরুত্ব দেন না বা হাতে পানি দেন না৷ এরপর হয়ত শুধু পানি দিয়েই ধুয়ে ফেলেন৷ অন্যদিকে আমার ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যা আছে৷ এজন্য তার ধরা প্রতিটি জিনিস ধরতে আমি বারবার মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত হই, মনে হয় তাতে ময়লা বা নাপাক লেগে আছে৷ উদাহরণস্বরুপ ওনার মোবাইল আমি হাতে নিলে হাত ধুয়ে ফেলি৷ কিংবা ঘরের সুইচে টিপ দিলে আমি টিস্যু দিয়ে মুছি বা আমার হাত ধুয়ে ফেলি৷ এমনকি টিভির রিমোট হাতে নিলেও আমি আমার হাত ধুয়ে ফেলি৷ ওনার রুমে ঢুকেও কোনকিছু ধর‍তে দ্বিধায় পড়ি। এছাড়া উনি বেসিনে হাত ধোবার সময় দেখা যায়, ময়লা হাত দিয়ে বেসিন ধরে ঐ হাতে সাবান নিয়ে হাত পরিস্কার করে আবার একি হাত দিয়ে বেসিন বন্ধ করেন৷ এজন্য আমার সন্দেহ বেশি হয়৷ যদিও দৃশ্যমান নাপাক চোখে পড়ে না৷
এ সমস্যা আমার আগে ছিল না৷ তবে বর্তমানে করোনার সময়ে হাত ধোয়ার কারণে হয়ত আমার শুচিবায়ু বিষয়টা মনে গেথে আছে। আমার জীবানু নিয়ে ভয় নেই৷ তবে মনে হয়, তার হাতে বেখেয়ালবশত যদি নাপাক/ময়লা থেকে যায়, তবে আমার হাত ও নাপাক হবে কিনা৷ কারণ আমি হাত মুখে বা চোখে দি বারবার৷ যদিও উনি ধর্ম সম্পর্কে সচেতন, তবুও আমার মনে খুব সন্দেহ হয়৷ তাই এটা নিয়ে মানসিক সমস্যায় আছি, বাসার সবাই ও জেনে গেছে আমার আচরণে, তারা আমার উপর বিরক্ত, নিজেও হতাশ৷
এখন প্রশ্ন হল, আমি এ হাত ধোয়ার বিষয়টা কি পুরোপুরি বাদ দেবো‌! মানে তার হাতে যদি অসাবধানতাবশত নাপাক থেকে যায়, তার দায়ে কি আমার হাত ও নাপাক হবে? উনি রিমোট ধরলে বা সুইচ চাপলে এটা কি ইগ্নোর করে যাবো? মানসিক সমস্যা থেকে উত্তরণ চাই৷
২৷ কোন মহিলা যদি ঘর মোছা বা ঝাড় দেবার সময় রুমের বাতাস বন্ধ করতে ফ্যানের সুইচ চাপে তবে ঐ হাত দিয়ে সুইচ ধরার কারণে সুইচ কি নাপাক হবে, মোছার দরকার আছে?

৩৷ নখ কাটার ৩-৪ দিন পর যে পরিমাণ নখ বড় হয়, এর ভিতরে নাপাক ঢুকলে করণীয় কি? আমি বাথরুমে টিস্যু দিয়ে মোছার সময় সন্দেহ হয় ৩-৪ দিনের নখের মধ্যে নাপাক ঢুকে গেল কিনা! এতটুকু নখ তো কাটা যায় না, তাই হাতে সাবান নিয়ে ওই নখের ভিতর অন্য নখ ঢুকিয়ে পরিস্কার করার চেষ্টা করি৷ এরপর পানি দিয়ে দি, এ পন্থা কি ঠিক আছে?

৪৷ যে জিনিসের উপর দিয়ে মশা, মাছি বা টিকটিকি চলাচল করে সেখানে হাত দিলে কি হাত ধোয়ার প্রয়োজন আছে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো মশা, মাছি, বোলতা, বিচ্ছু ইত্যাদি যে সকল প্রাণীর মধ্যে প্রবাহিত রক্ত নেই সেগুলোর মৃত্যুর পানি নাপাক হবে না। 

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,

‘আবু জাফর এবং আতা (রাহ.) মশা ও বুরগুসের (পাখাবিহীন এক প্রকার ক্ষুদ্র কীট)রক্তে কোনো সমস্যা মনে করতেন না।’ 

মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৩১, ২০৩২, ২০৩৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৩২; বাদায়েউস সানায়ে ১/১৯৫; আলবাহরুর রায়েক ১/২২৯।

আরো জানুনঃ  
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত পোকামাকড় মারার দ্বারা হাত নাপাক হয়না।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি আপনার বাবার হাত পাক ছিলো।  
তাই আপনার কাজগুলো নিছক ওয়াসওয়াসা মাত্র,যেটির প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেননা।
,
(০২)
না,এতে সুইচ নাপাক হবেনা।
,
(০৩)
আপনি সেই নখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।আপনি যে পন্থাটি অবলম্বন করেছেন,এটি অনেক কষ্টের,এটির প্রয়োজনীয়তা নেই।
,
(০৪)
না,হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
তবে আপনার হাতে কোনো নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পেলে হাত ধুয়ে ফেলবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...