আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম। এক মুসলিম জনৈক দাবি করছে ইসলামে নারীর স্বাধীনতা নেই। তাকে যুক্তি দিলে সে বলছে ইসলাম নারীকে ভোগ্যসামগ্রী এর মতো ব্যবহার করছে। পশ্চিমাদের সে নারী অধিকারে সচেতন বলছে, অথচ পশ্চিমারাই যে নারীকে পণ্যের মতো ব্যবহার করছে সে যুক্তি দিলে ভিত্তিহীন পাল্টা যুক্তি দিচ্ছে সে। এক্ষেত্রে আমাদের মতো সাধারণ ক্ষুদ্রজ্ঞানী মুসলিমদের করণীয় কি? তর্ক করব? নাকি এড়িয়ে যাব? আমি অনেকদুর যুক্তি দিয়েছি তাকে, এতে কিছুদুর তর্কাতর্কিও হয়েছে। কিম্তু আমি কোন আলেম নই। আমার কি ভুল হয়েছে? আমার কি করণীয় এখন?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ. الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ. وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ. وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ. وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ. إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ

মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র; যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত, যারা যাকাত দান করে থাকে এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।  (সূরা মুমিনুন, আয়াত নং-৬)

উক্ত আয়াতে একজন মুমিন ব্যক্তি কিছু গুণের কথা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন। তা মধ্যে একটি গুণ হলো যে, একজন মুমিন ব্যক্তি সে অনর্থক কথা-বার্তায় লিপ্ত হয় না। বরং এগুলো সে এড়িয়ে চলে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولُ مَنْ خَلَقَ كَذَا مَنْ خَلَقَ كَذَا حَتَّى يَقُولَ مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ فَإِذَا بَلَغَهُ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ، وَلْيَنْتَهِ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো নিকট শয়তান আসতে পারে এবং সে বলতে পারে, এ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? ঐ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এরূপ প্রশ্ন করতে করতে শেষ পর্যন্ত বলে বসবে, তোমাদের প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যখন ব্যাপারটি এ স্তরে পৌঁছে যাবে তখন সে যেন অবশ্যই আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় এবং বিরত হয়ে যায়। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৬) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

শয়তানের সাথে বির্তকে পরাজিত হওয়ার প্রবল সম্ভবনা আছে বলে এরূপ ক্ষেত্রে শয়তানের সাথে তর্ক না করে আল্লাহর কাছে পার্থনাই শ্রেয়। তেমনী মানুষরুপী শয়তানের সাথেও।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. তাকে এড়িয়ে চলবেন। অযথা তার সাথে তর্ক করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।

২. একথা তো সবারই জানা যে, বর্তমানে পশ্চিমারাই যে নারীকে পণ্যের মতো ব্যবহার করছে। ধর্ষন, যিনা, ব্যভিচার পশ্চিমা দেশগুলোতেই বেশী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...