ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
قَدْ
أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ.
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ.
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ.
وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ.
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ.
إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ
مَلُومِينَ
মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র; যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত, যারা যাকাত দান
করে থাকে এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও
মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। (সূরা মুমিনুন, আয়াত
নং-৬)
উক্ত আয়াতে একজন মুমিন ব্যক্তি কিছু গুণের কথা আল্লাহ
তায়ালা বলেছেন। তা মধ্যে একটি গুণ হলো যে, একজন মুমিন ব্যক্তি সে অনর্থক কথা-বার্তায়
লিপ্ত হয় না। বরং এগুলো সে এড়িয়ে চলে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
قَالَ
أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولُ مَنْ خَلَقَ كَذَا مَنْ خَلَقَ
كَذَا حَتَّى يَقُولَ مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ فَإِذَا بَلَغَهُ فَلْيَسْتَعِذْ
بِاللَّهِ، وَلْيَنْتَهِ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো নিকট শয়তান আসতে পারে এবং সে বলতে পারে, এ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? ঐ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এরূপ প্রশ্ন করতে করতে শেষ
পর্যন্ত বলে বসবে, তোমাদের প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যখন ব্যাপারটি এ স্তরে পৌঁছে যাবে তখন সে
যেন অবশ্যই আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় এবং বিরত হয়ে যায়। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৬) হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস
শয়তানের সাথে বির্তকে
পরাজিত হওয়ার প্রবল সম্ভবনা আছে বলে এরূপ ক্ষেত্রে শয়তানের সাথে তর্ক না করে
আল্লাহর কাছে পার্থনাই শ্রেয়। তেমনী মানুষরুপী শয়তানের সাথেও।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. তাকে এড়িয়ে চলবেন। অযথা তার সাথে তর্ক করে আপনার
মূল্যবান সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
২. একথা তো সবারই জানা যে, বর্তমানে পশ্চিমারাই যে নারীকে পণ্যের মতো ব্যবহার
করছে। ধর্ষন, যিনা, ব্যভিচার পশ্চিমা দেশগুলোতেই বেশী।