আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি কিছু দিন ফেসবুকে দেখি যে ,একটা ভিডিওতে গরু ব্যবসায়ীদের গরু বেচার সময় কষ্টের ভিডিও দিয়েছে। আর লিখেছে "যদি যদি ত্যাগই কুরবানির আসল উদ্দেশ্য হয় ,তাহলে এদের কুরবানি আল্লাহর কাছে আগে কবুল হবে"।

আমি জানতে চাই

১. "যদি যদি ত্যাগই কুরবানির আসল উদ্দেশ্য হয় তাহলে, এদের কুরবানি আল্লাহর কাছে আগে কবুল হবে"। এমন লেখা কি উচিত?
২.এক্ষেত্রে কি তারাও কুরবানির সওয়াব পাবে?
৩.এটাও কি কুরবানি বলা যায় মানে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও  গরু বিক্রি করাও কি কুরবানি বলা যায় ?

বি.দ্রঃএখানে গরু বিক্রি করার কষ্টের কথা বলা হয়েছে,গরু কুরবানি করার কথা বলা হয় নি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত
 عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসুলাল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য ফরয বিধানের পরই ফরয।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)

সা‘আদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযি.) হতে বর্ণিত।
عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ "إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فَمِ امْرَأَتِك
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘তুমি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশে যা-ই ব্যয় কর না কেন, তোমাকে তার প্রতিদান নিশ্চিতরূপে প্রদান করা হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা তুলে দাও, তারও।’ (সহীহ বোখারী-৫৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রিযিক তালাশ করা নিতান্তই জরুরী একটা বিষয়।সেই রিযিকের তালাশ করতে যেয়ে যারা মেহনত করবে,তারা অবশ্যই সওয়াব প্রাপ্ত হবে। 

রিযিক তালাশের নিয়তে যারা গরু পালন করবে,যদি তাদের উদ্দেশ্য থাকে,গরু পালনের মাধ্যমে হালাল রিযিকের অন্বেষণ করণ,তাহলে এই গরু পালনের জন্য অবশ্যই তারা সওয়াবপ্রাপ্ত হবে।এবং এই মর্মার্থকে সামনে রেখে একথা বলা যাবে যে,
"যদি যদি ত্যাগই কুরবানির আসল উদ্দেশ্য হয় ,তাহলে এদের কুরবানি আল্লাহর কাছে আগে কবুল হবে"। অর্থাৎ আল্লাহ তাদের নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা প্রচেষ্টা কবুল করবেন।
কেননা কুরবানির অর্থ হল, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিমিত্তে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা।সুতরাং তাদের কুরবানি মানে তাদের রিযিক তালাশের চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা আল্লাহ কবুল করুক।

এই অর্থ নিলে উক্ত কথাকে সঠিক রাখা যাবে।নতুবা উক্ত কথা সঠিক হবে না। এবং এমন কথা বলাও সঠিক হবে না।

(২)যারা পশু বিক্রি করে,তারা কখনই কুরবানি দাতার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে না।

(৩)না,এটাকে কুরবানি বলা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...