ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসুলাল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য ফরয বিধানের পরই ফরয।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)
সা‘আদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযি.) হতে বর্ণিত।
عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ "إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فَمِ امْرَأَتِك
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘তুমি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশে যা-ই ব্যয় কর না কেন, তোমাকে তার প্রতিদান নিশ্চিতরূপে প্রদান করা হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা তুলে দাও, তারও।’ (সহীহ বোখারী-৫৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রিযিক তালাশ করা নিতান্তই জরুরী একটা বিষয়।সেই রিযিকের তালাশ করতে যেয়ে যারা মেহনত করবে,তারা অবশ্যই সওয়াব প্রাপ্ত হবে।
রিযিক তালাশের নিয়তে যারা গরু পালন করবে,যদি তাদের উদ্দেশ্য থাকে,গরু পালনের মাধ্যমে হালাল রিযিকের অন্বেষণ করণ,তাহলে এই গরু পালনের জন্য অবশ্যই তারা সওয়াবপ্রাপ্ত হবে।এবং এই মর্মার্থকে সামনে রেখে একথা বলা যাবে যে,
"যদি যদি ত্যাগই কুরবানির আসল উদ্দেশ্য হয় ,তাহলে এদের কুরবানি আল্লাহর কাছে আগে কবুল হবে"। অর্থাৎ আল্লাহ তাদের নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা প্রচেষ্টা কবুল করবেন।
কেননা কুরবানির অর্থ হল, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিমিত্তে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা।সুতরাং তাদের কুরবানি মানে তাদের রিযিক তালাশের চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা আল্লাহ কবুল করুক।
এই অর্থ নিলে উক্ত কথাকে সঠিক রাখা যাবে।নতুবা উক্ত কথা সঠিক হবে না। এবং এমন কথা বলাও সঠিক হবে না।
(২)যারা পশু বিক্রি করে,তারা কখনই কুরবানি দাতার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে না।
(৩)না,এটাকে কুরবানি বলা যাবে না।