ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যত ক্ষেত্রে দুআর কথা বর্ণিত রয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে হাত তুলে দুআ করা জায়েয। একাকিও জায়েয এবং সম্মিলিত ভাবেও জায়েয। সুতরাং কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দু’আ করা জায়েয হবে। যিয়ারতের জন্য হাত উত্তোলন করে দুআ করা কিংবা সম্মিলিতভাবে দু’আ করাকে জরুরী মনে করা যাবে না। বরং জরুরী মনে করে করলে বিদ’আত হবে।
(২)
কবর যিয়ারত সমাপ্ত করে হাত তুলে মুনাজাত করা জায়েয। কবরের দিকে তাকিয়ে বা সম্মুখ করে কিংবা কিবলামুখী হয়ে উভয়ভাবে দু’আ করা যাবে।
যখন কেউ কবর যিয়ারতের নিয়ত করবে,তখন তার জন্য মুস্তাহাব হল,সে যেন ঘরে দুই রা'কাত নামায পড়ে,এবং প্রত্যেক রা'কাতে যেন সে সূরা ফাতেহা ও একবার আয়াতুল কুরসি,এবং তিনবার সুরা ইখলাছ পড়ে।এবং এর সওয়াব যেন সে মৃত ব্যক্তির জন্য প্রেরণ করে দেয়।আল্লাহ তা'আলা উক্ত তিলাওয়াতের সওয়াবকে উক্ত ব্যক্তির কবরে নুর হিসেবে পাঠিয়ে দেবেন।এবং মুসাল্লি র জন্যও আল্লাহ অনেক সওয়াব লিখে রাখবেন।অতঃপর উক্ত মুসল্লি কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তায় যেন কোনো অনর্থক কাজে মশগুল না হয়।যখন সে কবরস্থানে পৌছবে তখন পায়ের জুতা খুলে ফেলবে।অতঃপর সে কিবলার দিকে পিঠ ফিরিয়ে এবং মৃতব্যক্তির দিকে আপন চেহারাকে নিবিষ্ট করে দাড়াবে।এবং বলবে......
"আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর, ওয়া ইয়াগফিরাল্লাহু লানা ওয়া লাকুম,আনতুম লানা সালাফুন ওয়া নাহনু বিল আসারি "(গারাঈব)
(অন্যন্য কিভাবে এভাবে বর্ণিত রয়েছে,
আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল মিনাল মুসলিমী-না ওয়াল মুসলিমা-ত,আনতুম লানা সালাফুন ওয়া নাহনু লাকুক তাবায়ুন ওয়া ইন্না ইনশা আল্লাহু বিকুম লাহিকুন"
এবং যখন দু'আর সময় হবে তখন কিবলার দিকে মুখ ফিরিয়ে দাড়াবে।(খাযানাতুল ফাতাওয়া)(শেষ)