আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
আমি বিভিন্ন ই-কমার্স থেকে বাইক অর্ডার করে থাকি বাজার মূল্য থেকে কম টাকায়৷ ই-কমার্স গুলো যেকোনো  একটি বাইক শোরুমকে বলে দিবে আমার বাইকটি আমাকে দিয়ে দিতে।এখন আমি যদি চাই আমার ওই বাইকটি শোরুমেই বিক্রি করে দিতে পারব। শোরুম আমাকে ওই বাইক এর বাজারের যে মূল্য সেই মূল্য দিয়ে কিনে নিবে। আমার ইচ্ছাতেই ওই বাইকটি আমার থেকে শোরুম কিনে নিবে। এই বেচাকেনাটা কি হালাল  হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1536 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মাজমা'উল আনহুর(২/১০৩) কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
(وَلَا) يَجُوزُ لِرَبِّ السَّلَمِ (شِرَاءُ شَيْءٍ مِنْ الْمُسْلَمِ إلَيْهِ بِرَأْسِ الْمَالِ بَعْدَ التَّقَابُلِ) فِي عَقْدِ السَّلَمِ الصَّحِيحِ بَعْدَ وُقُوعِهِ (قَبْلَ قَبْضِهِ) بِحُكْمِ الْإِقَالَةِ اسْتِحْسَانًا لِقَوْلِهِ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - «لَا تَأْخُذْ إلَّا سَلَمَك أَوْ رَأْسَ مَالِكِ» أَيْ لَا تَأْخُذْ إلَّا مَا أَسْلَمْتَ فِيهِ حَالَ قِيَامِ الْعَقْدِ أَوْ رَأْسَ مَالِكِ بَعْدَ الِانْفِسَاخِ فَتَرَكْنَا الْقِيَاسَ عَمَلًا بِهِ لِأَنَّ النَّبِيَّ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - جَعَلَ حَقَّ رَبِّ السَّلَمِ أَخْذَ الْمُسْلَمِ فِيهِ قَبْلَ الْإِقَالَةِ، وَأَخْذَ رَأْسِ الْمَالِ بَعْدَهَا، ثُمَّ لَا يَجُوزُ الِاسْتِبْدَالُ قَبْلَ الْإِقَالَةِ بِالْمُسْلَمِ فِيهِ لِئَلَّا يَصِيرَ قَابِضًا حَقَّ غَيْرِهِ فَكَذَا بَعْدَهَا بِرَأْسِ الْمَالِ.
সালাম আকদ অনুষ্টিত হওয়ার পর উক্ত সালামের হস্তান্তরিত মূল্য দ্বারা রাব্বুল মাল ভিন্ন কিছূ সেই ব্যক্তি থেকেও ক্রয় করতে পারবে না, যার সাথে সালাম অনুষ্টিত হয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, হয়তো তুমি তোমার সালাম আকদের মালকে ক্রয় করো অথবা মূল্যকে গ্রহণ করো। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথার অর্থ হল, সালাম আকদ বাকী থাকাবস্থায় তুমি ঐ পণ্য ব্যতিত অন্য কিছু গ্রহণ করতে পারবেনা। আর সালাম আকদকে বাতিল করা অবস্থায় তুমি মূল্যকে গ্রহণ করতে পারবে। সালাম আকদে উল্লেখিত পণ্য মূল্যকে বদলানো যাবে না। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ই-কমার্স কম্পানি যদি কোনো বাইক শো রুমের মাধ্যমে আপনার নিকট বাইক পৌছায়, এবং আপনি যদি উক্ত বাইকের উপর পূর্ণ কবজা বা কর্তৃত্ব অর্জন করে নেন, অর্থাৎ আপনি চাইলে বাইক-কে নিজের কাছে রাখতে ও পারেন, আবার চাইলে যে কোনে জায়গায় বিক্রিও করতে পারেন, তাহলে আপনি উক্ত বাইককে শোরুম মালিকের নিকট বিক্রি করতে পারবেন। শর্ত হল, বাইকের উপর আপনার পূর্ণ কর্তৃত্ব অর্জন হওয়া, সাধারণ ভাবে অন্য জিনিসকে ক্রয় করার  পর যেভাবে কর্তৃত্ব অর্জন হয়, সেভাবে আপনার কর্তৃত্ব উক্ত বাইকে অর্জন হওয়া। 

সুতরাং বাইকের উপর আপনার পূর্ণ কর্তৃত্ব অর্জন হওয়ার পর আপনি বাইককে অন্য যে কারো কাছে বিক্রি করতে পারবেন। আবার ঐ শোরুম মালিকের নিকটও মার্কট প্রাইসে বিক্রিও করতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
জি হুজুর আমি বুঝতে পেরেছি বিষয়টা
যদি বাইক সংকট থাকার কারনে আমাকে জোরপূর্বক টাকা দিয়ে দেয় তাহলেও কি আমার জন্য হারাম হবে?
নাকি হালাল হবে?
একটু জানাবেন প্লিজ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 205 views
0 votes
1 answer 123 views
...