ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/3747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
গৃহকর্মী যতদিন কাজ করবে, ততদিনের মজুরি সে মালিকের নিকট পাবে। সুতরাং তাকে চাকুরী থেকে যখন বের করা হবে, যতদিনের সে কাজ করবে, ততদিনের সে মজুরি পাবে। হ্যা, যদি কারো সাথে নির্দিষ্ট কোনো দিন বা মাসের চুক্তি থাকে, তাহলে চুক্তি অনুযায়ী ঐ সময় পূর্ণ করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّىٰ يَبْلُغَ أَشُدَّهُ ۚ وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ ۖ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا
আর, এতিমের মালের কাছেও যেয়ো না, একমাত্র তার কল্যাণ আকাংখা ছাড়া; সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যৌবনে পদার্পন করা পর্যন্ত এবং অঙ্গীকার পূর্ন কর। নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।( সূরা বনি-ইসরাঈল-৩৪)
সুতরাং গৃহকর্মীর সাথে নির্দিষ্ট কোনো দিন তারিখের চুক্তি থাকলে, সেই দিন তারিখ পর্যন্ত ঐ গৃহকর্মীকে চাকুরীতে রাখা নিতান্তই জরুরী। তবে ঐ নির্দিষ্ট দিন তারিখের পূর্বে তাকে চাকুরী থেকে বের করা হলে, সেজন্য তাকে অতিরিক্ত এক মাসের বেতন দেওয়া শরীয়তে দৃষ্টিতে ফরয বা ওয়াজিব নয়। হ্যা, কেউ দিতে চাইলে সে পারবে, এবং গরীবকে এরকম সহযোগিতা করার জন্য সে অবশ্যই সওয়াব পাবে।