রোযা অবস্থায় হায়েজ আসলে রোযা ভেঙ্গে ফেলবে।
পরবর্তীতে সেই রোযার কাজা আদায় করবে ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عائشة رضي الله عنها أنها سئلت : هل تقضي الحائض الصوم والصلاة؟ فقالت : كنا نؤمر بقضاء الصوم ولا نؤمر بقضاء الصلاة. متفق عليه.
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হল হায়েজ থেকে পবিত্রতার পর মহিলারা কি সালাত ও সাওমের কাজা আদায় করবে? তিনি বললেন : ‘‘এ অবস্থায় আমাদের সিয়ামের কাজা আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সালাতের নয়।’’ [বুখারী ও মুসলিম]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার পর ঐ দিন খাওয়া দাওয়া করা যাবে।
এটি নিষেধ নয়।
তবে রমজান মাস হলে রোযাদারের সামনে খাওয়া যাবেনা।
,
وأما في حالة تحقق الحیض و النفاس فیحرم الإمساك؛ لأن الصوم منهما حرام، والتشبه بالحرام حرام". (طحطاوی علی المراقی : ص : ۳۷۰ )
সারমর্মঃ
হায়েজ বা নেফাস হলে পানাহার থেকে বিরত থাকা হারাম।
কেননা সেই অবস্থায় রোযা রাখা হারাম।
,
(০২)
যে দিন পবিত্র হবে হায়েজ থেকে, ওই দিন যখন পবিত্র হবে। তারপর থেকে না খেয়ে থাকতে হবেনা।
তবে রমজান মাস হলে বাকি দিন না খেয়ে থাকাই মুস্তাহাব।
’’یجب علی الصحیح، و قیل: یستحب الإمساك ... وعلی حائض و نفساء طهرتا بعد طلوع الفجر‘‘. (مراقی الفلاح : ص : ۳۷۰)
সারমর্মঃ
যদি হায়েজাহ মহিলা বা নেফাস ওয়ালি মহিলা ফজরের পর পবিত্র হয়ে যায়,তাহলে পানাহার থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।
কেহ কেহ ওয়াজিবও বলেছেন।