আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম, কেউ যদি রোজা রাখার নিয়ত করে সেহেরি খেয়ে নামাজ পড়ে  ঘুমাতে যায়। সকালে উঠে দেখে তার হায়েজ হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তার ত রোজা ভেঙে গেল। এখন কেউ কেউ বলছে, রোজা ভেঙে গেলেও ওই দিন নাকি কিছু খাওয়া যাবে না।
আমার প্রশ্ন হলঃ সকালে হায়েজ হলে, সারা দিন কি না খেয়ে থাকতে হবে?
আর একটা প্রশ্নঃ যে দিন পবিত্র হবে হায়েজ থেকে, ওই দিন যখন পবিত্র হবে। তারপর থেকে কি না খেয়ে থাকতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,370 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
রোযা অবস্থায় হায়েজ আসলে রোযা ভেঙ্গে ফেলবে।
পরবর্তীতে সেই রোযার কাজা আদায় করবে । 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

 عن عائشة رضي الله عنها أنها سئلت : هل تقضي الحائض الصوم والصلاة؟ فقالت : كنا نؤمر بقضاء الصوم ولا نؤمر بقضاء الصلاة. متفق عليه. 

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হল হায়েজ থেকে পবিত্রতার পর মহিলারা কি সালাত ও সাওমের কাজা আদায় করবে? তিনি বললেন : ‘‘এ অবস্থায় আমাদের সিয়ামের কাজা আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সালাতের নয়।’’ [বুখারী ও মুসলিম] 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার পর ঐ দিন খাওয়া দাওয়া করা যাবে।
এটি নিষেধ নয়।
তবে রমজান মাস হলে রোযাদারের সামনে খাওয়া যাবেনা।
,     
وأما في حالة تحقق الحیض و النفاس فیحرم الإمساك؛ لأن الصوم منهما حرام، والتشبه بالحرام حرام". (طحطاوی علی المراقی : ص : ۳۷۰ )
সারমর্মঃ
হায়েজ বা নেফাস হলে পানাহার থেকে বিরত থাকা হারাম।
কেননা সেই অবস্থায় রোযা রাখা হারাম।  
,

(০২)
যে দিন পবিত্র হবে হায়েজ থেকে, ওই দিন যখন পবিত্র হবে। তারপর থেকে না খেয়ে থাকতে হবেনা।
তবে রমজান মাস হলে বাকি দিন না খেয়ে থাকাই মুস্তাহাব।

’’یجب علی الصحیح، و قیل: یستحب الإمساك ... وعلی حائض و نفساء طهرتا بعد طلوع الفجر‘‘. (مراقی الفلاح : ص : ۳۷۰)
সারমর্মঃ
যদি হায়েজাহ মহিলা বা নেফাস ওয়ালি মহিলা ফজরের পর পবিত্র হয়ে যায়,তাহলে পানাহার থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।
কেহ কেহ ওয়াজিবও বলেছেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...