জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সুরা আ'রাফের ৩১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ وَّ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ۚ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۳۱﴾
হে আদম সন্তান! প্রত্যেক সলাতের সময় তোমরা সাজসজ্জা গ্রহণ কর, আর খাও, পান কর কিন্তু অপচয় করো না, অবশ্যই তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।
নামায পড়ার সময় কনুই খোলা রাখা বা হাফ হাতা জামা পরিধান করে নামাজ পরা মাকরুহ তানযিহী।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
ফাঁকাও রাখতে পারেন,মিলিয়েও রাখতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।
সবই ছহীহ।
,
হাত উত্তোলন করা ছাড়াও মুনাজাত করা যায়,তবে হাত উত্তোলন করে মুনাজাত করা মুনাজাতের আদব।
এতে দোয়া কবুল হওয়া সম্পর্কে হাদীস শরীফে পাওয়া যায়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত,
ان اللہ حی کریم، یستحی ان یرفع الرجل الیہ یدیہ ان یردھما صِفراً خائِبیْن۔
রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেন, আল্লাহ তাআলা দয়ালু, দাতা। যখন বান্দা তাঁর সামনে প্রার্থনার হাত প্রসারিত করে তখন তা শূন্য ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জ্বাবোধ করেন। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৯৫)
আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবি ইয়াহইয়া (রঃ) বলেন,
رایت عبد اللہ بن الزبیر و رئیٰ رجلا رافعا یدیہ قبل ان یفرغ من صلاتہ، فلما فرغ منھا قال: ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم لم یکن یرفع یدیہ حتی یفرغ من صلاتہ۔
আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রা.)একজন নামাযীকে দেখলেন, সে নামায শেষ করার আগেই হাত তুলে মুনাজাত করছে। তিনি তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নামায সমাপ্ত হওয়ার আগে হাত তুলে মুনাজাত করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)
,
(০৩)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে যাবে।
দাড়ানোর স্থান,বসার স্থান,সেজদায় হাত,কপাল,নাক রাখার স্থান পাক হলেই সেই জায়নামাজে নামাজ হয়ে যাবে।
(০৪)
শুধু মাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে এটিকে হারাম বলা যায়না।
আপনি যদি নিশ্চিত হোন,বা প্রবল ধারনা হয় ,তাহলে এটি বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিবেন।
বা মূল মালিককে ফেরত দিবেন।
টাকা বিক্রেতা থেকে উসুল করে নিবেন।