আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম  ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ। আমার স্বামী  একজন মেডিকেল  অফিসার। পারিবারিক  দায়িত্ব  কর্তব্য এর জন্য  আর বেশি ডিগ্রি  অর্জনের  এর চেস্টা  করতে পারছেনা।আমার শাশুড়ী  ছেলের জন্য  ডাঃ বউ কিং বা অর্থ সম্পদ ওয়ালা মেয়ে চেয়েছিল।কিন্তু  আমি মাস্টার্স  করা একজন মধ্যে বিত্ত ঘরের মেয়ে এবং  এতিম।তাই অনেক কিছু  পাইনি কিং বা অন্য জায়গায়  বিয়ে করালে ছেলেকে অনেক কিছু  পেতো তা নিয়ে অনেক কথা শুনাতো।আমাকে অনেক তুচ্ছতাচ্ছিল্য  করে।তাদের চোখ আমার কোনো যোগ্যতা নাই।তাই তারা চায় আমি কাজের মেয়ের মতো সব কাজ করি,কিন্তু  পারিবারিক  কোনো ডিসিশন, আলাপ আলোচনায় আমি থাকতে পারবো  না।বিয়ের পর ও আমার ননদ  কে এখানেই রাখছে,যাতে ওর শশুর বাড়ির কোনো ঝামেলা  ওকে যাতে না পায় এবং  উনি নিজেও সারাজীবন  বাবার বাড়ির  সাথেই  ছিলো, শশুর বাড়ি  শুধু  মাত্র  বেড়ানোর  উদ্দেশ্য  যেতো।কিন্তু  আমাকে বেশিদিন  আমার ভাই বোনদের কাছে থাকতে দেয়না। ছেলেকেও  আমার বাবার বাড়ির  লোকদের সাথে খুব  একটা  মিশা পছন্দ  করে না।আর আমার এবং  ননদ এর ক্ষেত্রে  অনেক পার্থক্য  করে।আমার অল্প ভুলেও অনেক বকাবকি কিংবা কথা শুনাতে ছাড়েনা,আর মেয়ের সাত খুন  ও মাফ।মেয়ের জামাইয়ের  অবাধ বিচরন।আমি খুব  একটা সামনে যাই না কেনো?মেয়ের জামাই কে নাস্তা এগিয়ে দেওয়া,আদর যত্ন,আলাপচারিতা  করিনা কেনো তা নিয়ে মন ক্ষুন্ন  থেকে আমাকে কথা শুনায় অন্যভাবে।আমার এবং  তার মেয়ের প্রেগ্ন্যাসির  সময়ে আকাশ পাতাল পার্থক্য ছিল।আমার স্বামী  দব দেখেও চুপ  থাকে,তার বাবা মা যে অন্যায় করছে তা বুঝিয়ে বলতে গেলে সব অস্বীকার  করে এবং  অনেক উল্টো  পাল্টা  দোষ  দিয়ে আমার জামাই কে চুপ করিয়ে দেয়।আমি খুব মানসিক কষ্ট  এ থাকি।আমার প্রতিটা দিন পাহাড়  সম যায়।আলাদা হতে চাই যাতে এই জুলুম  থেকে বাচতে পারি,কিন্তু  স্বামী  রাজিনা।আমি কি করবো তাদের জুলুম,আমার প্রতি নিচু মানসিকতা, আমাকে দাসির মতো ভাবা,সুযোগ  পেলেই কথা শুনানো, ছোটো  করা আমি আর নিতে পারছিনা।এত মানসিক  অশান্তি  তে ইবাদত  ও ঠিক মতো মনযোগ  দিতে পারিনা,আর সব একসাথে থেকে পর্দা  পালন কঠিন  হয়ে যাচ্ছে, আল্লাহ  কে বলছি আমার পেরেশানির কথা।কিভাবে আমি মুক্তি  পাবো জানিনা,প্লিজ আমায় বলেন আমার কি করা উচিত???

1 Answer

0 votes
by (672,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার অভিভাবকদের মাধ্যমে স্বামীকে বুঝাতে পারেন,মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন।
স্বামীকে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে বলতে পারেন।
উভয় পক্ষের অভিভাবকদের মাধ্যমে বৈঠক করে বুঝাতে পারেন।
           
,
কিছুতেই কোনো কাজ না হলে এক্ষেত্রে আপনি যদি তার সাথে আর থাকতে না চান,বিচ্ছেদ চান,তাহলে তালাক পর্যন্ত যেতে পারেন।

তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

অথবা খোলা করতে পারে।
খোলা হচ্ছে: কোন কিছুর বিনিময়ে স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে স্বামী সে বিনিময়টি গ্রহণ করে স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে; এ বিনিময়টি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদত্ত মোহরানা হোক কিংবা এর চেয়ে বেশি সম্পদ হোক কিংবা এর চেয়ে কম হোক।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
   
 اَلطَّلَاقُ مَرَّتٰنِ۪ فَاِمۡسَاکٌۢ بِمَعۡرُوۡفٍ اَوۡ تَسۡرِیۡحٌۢ بِاِحۡسَانٍ ؕ وَ لَا یَحِلُّ لَکُمۡ اَنۡ تَاۡخُذُوۡا مِمَّاۤ اٰتَیۡتُمُوۡهُنَّ شَیۡئًا اِلَّاۤ اَنۡ یَّخَافَاۤ اَلَّا یُقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰهِ ؕ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا یُقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰهِ ۙ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡهِمَا فِیۡمَا افۡتَدَتۡ بِهٖ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰهِ فَلَا تَعۡتَدُوۡهَا ۚ وَ مَنۡ یَّتَعَدَّ حُدُوۡدَ اللّٰهِ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۲۲۹﴾

তালাক দু’বার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে। তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে, আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতে পারবে না। সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম।

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...