ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফিকাহ্ শব্দের আভিধানিক অর্থ বুদ্ধিবৃত্তি, প্রজ্ঞা, গভীর জ্ঞান ও সূক্ষাদর্শিতা। ইসলামী পরিভাষায় বিশদ প্রমাণাদি সহকারে কর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে শারীয়াতের বিধান-সমূহ (আহকাম) সম্পর্কে গভীর জ্ঞানকে ফিকাহ্ বলা হয়। যে শাস্ত্রে মুসলমানদের ব্যবহারিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত শারীয়াতের বিধানসমূহ আলোচিত হয়, তাকে ‘ইলমুল ফিকাহ্’ বলে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ "
ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২২০), বুখারী ও মুসলিম,তিরমিজি ২৬৪৫।
ফিকহশাস্ত্র বলতে আমরা যা চিনি, সেখানে ফিকহ অর্থ হলো, ‘ইসলামি শরিয়তের অন্তর্ভুক্ত আমলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল বিধিবিধান’
والفتوى في الشرع، هي الإخبار عن حكم الله – تعالى – في أمر مسئول عنه شرعا، وتوضيحه للسائل، على غير وجه الإلزام
সারমর্মঃ
শরীয়তের দৃষ্টিতে ফিকাহ বলা হয়,প্রশ্নকারীর প্রশ্নের ভিত্তিতে আল্লাহ তায়ালার হুকুম সম্পর্কে খবর দেওয়া, স্পষ্ট করে বর্ননা করা, তার উপর আবশ্যকীয় করে নয়।
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উক্ত দুটি শব্দের ব্যাবহারিক দিক থেকে যে পার্থক্য গুলো পাওয়া যায়,তাহা হলো ফিকাহ ঐ শাস্ত্রকে বলা হয়,যে শাস্ত্রে মুসলমানদের ব্যবহারিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত শারীয়াতের বিধানসমূহ আলোচিত হয়, তাকে ‘ইলমুল ফিকাহ্’ বলে।
আর ইফতা হলোঃ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে বলে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সম্ভবত তারা ফিকাহ বলতে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর উদ্দেশ্য নেননি।
বরং ইসলামি শরিয়তের অন্তর্ভুক্ত আমলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল বিধিবিধান উদ্দেশ্য নিয়েছেন।
আকীদা,ইত্যাদির উত্তর সম্ভবত দেননা।