জবাবঃ-
হযরত আসমা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أسماء، أن امرأة قالت: يارسول الله، إن لي ضرة، فهل علي جناح إنتشبعت من زوجي غير الذي يعطيني؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «المتشبع بما لم يعط كلابس ثوبي زور»
তিনি বলেন যে, কোন এক মহিলা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সতীন আছে। এখন তাকে রাগানোর জন্য যদি আমার স্বামী আমাকে যা দেয়নি তা বাড়িয়ে বলি, তাতে কি কোন দোষ আছে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যা তোমাকে দেয়া হয়নি, তা দেয়া হয়েছে বলা ঐরূপ প্রতারকের কাজ, যে প্রতারণার জন্য দুপ্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরিধান করল।(সহীহ বোখারী-৫২১৯,সহীহ মুসলিম-২১৩০)
ইমাম নববী রাহ বলেন,উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন,
قال العلماء معناه المتكثر بما ليس عنده بأن يظهر أن عنده ما ليس عنده يتكثر بذلك عند الناس ويتزين بالباطل فهو مذموم كما يذم من لبس ثوبي زور قال أبو عبيد وآخرون هو الذي يلبس ثياب أهل الزهد والعبادة والورع ومقصوده أن يظهر الناس أنه متصف بتلك الصفة ويظهر من التخشع والزهد أكثر مما في قلبه فهذه ثياب زور ورياء،
উলামমগণ বলেন,(المتشبع بما لم يعط)এর অর্থ হল,
নিজের কাছে যা নেই,তার থেকেও বেশী প্রদর্শন করা।যেমন, কেউ তার কাছে কোনো কিছু রয়েছে সেটা বুঝাতে চায়,অথচ বাস্তবে তা তার কাছে নেই এবং সে বাতিল দ্বারা সুসজ্জিত হয়ে থাকে।এটা নিন্দনীয় যেভাবে মিথ্যার দু'টি কাপড় পরিধান নিন্দনীয়।অর্থাৎ আবু উবাউদ রাহ সহ আরো অনেকে মনে করেন, যে ব্যক্তি মুত্তাকিদের পোষাক পড়ে নিজেকে মুত্তাকি হিসেবে প্রদর্শ করাতে চায়,এমন কাপড় হলো মিথ্যা ও লোকদেখানোর কাপড়।যা অবশ্যই নিন্দনীয়।(আল-মিনহাজ্ব-১৪/১১০)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পাগড়ী, আবা তথা নেককারদের পোষাক জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ নয়।বরং সুন্নত ও বরকতের নিয়তে যেকেউ পড়তে পারবে।যেমন ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মশহুর উক্তি
"أحب الصالحين ولست منهم.. لعلي أنال بهم شفاعة"
আমি নেককারদের ভালবাসি,তবে তাদের অন্তর্ভুক্ত নই।সম্ভবত আমি তাদের ভালবাসার দরুণ শা'ফায়তের যোগ্য হবো।
অবশ্যই পুরোপুরি নেককার না হওয়ার পরও যিনি পরিধান করবেন,তার জন্য এমন কোনো কাজে জড়িত হওয়া উচিৎ হবে না, যা এই নেককারদের মাহাত্ম্যপূর্ণ ইউনিফর্সের উপর কোনো প্রকার প্রশ্ন নিয়ে আসে।
তবে নিজেকে মুত্তাকি হিসেবে প্রকাশ করার জন্য তথা লোকদেখানোর নিমিত্তে নেককারদের পোষাক পড়া জায়েয হবে না।কেননা তখন সেটা মিথ্যা কাপড় হয়ে নাজায়েয হয়ে যাবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.