জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জীবিত অবস্থায় কেহ তার সম্পদ তার সন্তানকে দিলে সেটাকে হেবা বলে।
,
হেবা পূর্ণ হওয়ার জন্য কবজা তথা হস্তগত হওয়া শর্ত,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সেই জমি আপনার হস্তগত হয়,তথা আপনি যদি সেই জমিতে নিজ ইচ্ছামত কাজ,(হালচাষ, বর্গা দেওয়া) এর ইখতিয়ার পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।
নতুবা উক্ত জমির মালিক আপনার বাবা নিজেই।
আপনার যদি কোনো টাকা পয়সা,বা রুপা না থাকে,তাহলে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عثمان وابن عمر وابن عباس رضي اللّٰہ عنہم أنہم قالوا: لا تجوز صدقۃ حتی تقبض۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۴ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত উসমান রাঃ ,ইবনে ওমর রাঃ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন ছদকাহ জায়েজ নেই,কবজা করার আগ পর্যন্ত।
عن معاذ بن جبل وشریح رضي اللّٰہ عنہما أنہما کانا لا یجیزانہا حتی تقبض‘‘ اہـ۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۵ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এবং হযরত শুরাইহ রাঃ হেবার পূর্ণ হওয়ার ইজাযত দেননা কবজা করার আগ পর্যন্ত।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
যদি তিনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হোন,সেক্ষেত্রে তার নিজের নামে একটি কুরবানী আদায় করতেই হবে।
নতুবা তিনি গুনাহগার হবেন।
কুরবানী দেওয়ার মতো পশুর মূল্য গরিব মিসকিনকে সদকাহ করে দিতে হবে।
,
(০৩)
কাঁচা গোশত দিতে পারেন,রান্না করা গোশতও দিতে পারেন।
গোশত না দিয়ে দাওয়াতও খাওয়াতে পারেন।
নিজেরাও খেতে পারেন,কোনো গুনাহ হবেনা।
এটি ফরজ/ওয়াজিব কোনো বিধান নয়।
,
(০৪)
আত্মীয়ের ভাগ থেকেও দিতে পারেন,নিজেদের ভাগ থেকেও দিতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।