আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in সাওম (Fasting) by (1 point)
কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে কয়েক বছর সাওম না রাখে এবং পরবর্তীতে তার ভুল বুঝতে পারে, সেক্ষেত্রে মিস হয়ে যাওয়া সাওম গুলোর কাফফারা কী হবে ?                                                                           ?

1 Answer

0 votes
by (591,840 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোন ব্যক্তি যদি রোজাই না রাখে,কোনোভাবেই রোযার নিয়ত না করে,তাহলে তাকে শুধু কাজা আদায় করতে হবে।
,
বালেগ হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক রমজানে যেকয়টি রোযা সে রাখেনি সেই কয় রোযার কাজা আদায় করতে হবে।
,
এক্ষেত্রে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবেনা।
কাজা আদায় করতে হবে।
,
সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

★কোনো ব্যাক্তি যদি এই নিয়তে রোজা রাখে যে খারাপ লাগলে ভেঙ্গে ফেলবে। 
অতঃপর রোযা রাখা অবস্থায় (রোযার নিয়ত করার পর) শরীয়ত সম্মত কোনো কারন ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ইত্যাদি করে  রোযা ভেঙ্গে ফেলে,তাহলে তাকে কাজা এবং কাফফারা উভয়টিই আদায় করতে হবে। 

হাদীস শরীফে আছে, 
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কাফফারা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। দেখুন : সহীহ বুখারী ৬৭০৯; জামে তিরমিযী ৭২৪; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৭৪৫৭; মুসনাদে আহমদ ২/২৪১

আরো জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কি রোযা রাখার পর ভেঙ্গে ফেলেছিলো?
নাকি সে রোযাই রাখেনি?
যদি রোযাই না রেখে থাকে,তাহলে সে উক্ত দিন গুলোর হিসেব করে সকল রোযার একটি একটি করে কাজা আদায় করবে।
,
আর যদি সে রোযা রাখার পর ভেঙ্গে ফেলেছিলো, তাহলে তাকে কাজার সাথে সাথে কাফফারাও আদায় করতে হবে।
কাফফারা হলো লাগাতার ৬০ দিন রোযা রাখা।
প্রত্যেক বছর সমস্ত রোযার জন্য একটি কাফফারাই যথেষ্ট বলে ফুকাহায়ে কেরামগন মত প্রকাশ করেছেন।
সেক্ষেত্রে যে কয়টি বছর রোযা রেখে ভেঙ্গে ফেলেছিলো,সে কয়টি কাফফারা আদায় করবে। 
একটি কাফফারা হলো লাগাতার ৬০ দিন রোযা রাখা।
সামর্থ না রাখলে ৬০ জন মিসকিনকে খাবার খাওয়াতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 279 views
...