ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1126তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন হল, মসজিদে জামাত পড়া ওয়াজিব? না বাড়িতে জামাত পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
উত্তরঃ
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
(قوله في مسجد أو غيره) قال في القنية: واختلف العلماء في إقامتها في البيت والأصح أنها كإقامتها في المسجد إلا في الأفضلية. اهـ
ঘরে জামাত পড়া কি মসজিদে জামাত পড়ার মত? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মত হল,ঘরে জামাত পড়াও মসজিদে জামাত পড়ার মত।তবে সওয়াবে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।অর্থাৎ ঘরে জামাত পড়ার ধরুণ ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।তবে মসজিদের মত সওয়াব পাওয়া যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ুযদি ইমাম সাহেবের কিরাতে লাহনে জলী হয়ে থাকে, এবং আপনার কিরাত শুদ্ধ থাকে, ও আশপাশে কোনো মসজিদ না থাকে, তাহলে আপনি বাড়িতে জামাতের সাথে নামায পড়ে নিবেন। ইনশাআল্লা বাড়িতে জামাতের দ্বারা জামাতের সওয়াব অর্জিত হয়ে যাবে।