ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোসলের মুস্তাহার পদ্ধতি হল,
প্রথমে দুনু হাত এবং লজ্জাস্থান ধৌতকরণ পূর্বক ওজু করা হবে।এই সময় নাকে-মুখে পানি দেয়া হবে।অতঃপর সমস্ত শরীরে পানি ঢালা হবে।উত্তম হল প্রথমে ডানকাদে তারপর বামকাদে তারপর মাথায় তিনবার করে পানি দিয়ে ধোত করবে।এবং শরীর মলে ধৌত করবে।সর্বশেষ পা ধৌত করবে।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;৩/১৪৮)
জানাবত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য শুধুমাত্র গোসলের ফরয গুলা ভাল করে আদায় করে নিলেই কেউ পবিত্র হয়ে যাবে।
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই। কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে
গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।
গোসলের সুন্নাত ১২ টি।
(১)বিসমিল্লাহ পড়ে শুরু করা।
(২)নিয়্যাত করা।
(৩)দুনু হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
(৪)নাপাক যদি শরীরের কোথাও লেগে থাকে, তা ধৌত করা।
(৫)লজ্জাস্থান ধৌত করা।
(৬)এরপর গোসলকারী ব্যক্তি নামাযের ওজুর মত ওজু করবে,
(৭)অতঃপর শরীরে তিনবার পানি ঢেলে দিবে।য
দি কেহ বহমান পানিতে অথবা এ পরিমাণ পানিতে ডুব দেয়,যা বিধানের ক্ষেত্রে বহমান পানির তুল্য,এবং কিুছুক্ষণ তাতে অবস্থান করে নেয়, তবে সে গোসলের সমস্ত সুন্নাত আদায়কারী বলে গণ্য হবে।
(৮)মাথা থেকে পানি ঢালতে শুরু করবে।
(৯)তারপর ডান কাঁধ ধুবে।
(১০)অতঃপর বাম কাঁধ ধুবে।
(১১)ধোয়ার সময় শরীর মলে ধুবে।
(১২)শরীরের এক অঙ্গ অপর অঙ্গের অব্যবহিতের পরে ধুবে।
গোসলের মুস্তাহাব,ওজুর মুস্তাহাব বা আদাবের মত। তবে পার্থক্য এতটুকু যে,গোসলের সময় কেবলা মুখী হবে না।কেননা এতে অনেক সময় সতর খুলে যাওয়ার আশংকা থাকে।ওজুর মধ্যে যেগুলা মাকরুহ গোসলে মধ্যেও সেগুলা মাকরুহ।