بسم الله الرحمن
الرحيم
জবাবঃ-
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
قُلۡ صَدَقَ ٱللَّهُۗ فَٱتَّبِعُواْ مِلَّةَ
إِبۡرَٰهِيمَ حَنِيفٗاۖ
“বল, আল্লাহ সত্য বলেছেন, সুতরাং তোমরা ইবরাহীমের মিল্লাতের অনুসরণ কর একনিষ্ঠভাবে”। সূরা আলে-ইমরান: (৯৫)
অপর আয়াতে তিনি বলেন:
وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ حَدِيثٗا
আর কথায়
আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী কে?” সূরা নিসা: (৮৭)
অপর আয়াতে
তিনি বলেন:
وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ
ٱللَّهِ قِيلٗا
“আর কথায় আল্লাহ অপেক্ষা অধিক সত্যবাদী কে?” সূরা নিসা: (১২২)
ইমাম নাসাঈ রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন:
((إِنَّ
أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ».
“নিশ্চয় সবচেয়ে সত্যকথা হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদের
আদর্শ”।[(নাসায়ি আস-সুগরা: ১৫৭৮)
ইমাম কুরতুবী র: বলেন,
ومن حرمته إذا انتهت
قراءته أن يصدق ربه، ويشهد بالبلاغ".
অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত শেষে স্বীয় রবকে তাসদীক
করা কালামে পাকের আদবের অন্তর্ভূক্ত।(তাফসীরে করতুবী-১/২৭)
★প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই/বোন!
উক্ত বিষয়ে উলামায়ে কেরামের একাধিক মত রয়েছে।যদি কোন ব্যক্তি তেলাওয়াত শেষ হওয়ার আলামত হিসেবে কুরআনের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে সদাকাল্লাহুল আলিয়ুল আজীম বা এ জাতীয় কোন বাক্য বলে তবে তা বেদআত হবে না বরং তা ভাল কাজ বলে গন্য হবে। কিন্তু কেউ যদি উহাকে ফরজ ,ওয়াজিব বা সুন্নাত হিসেবে পড়ে অথবা উক্ত কালেমাকে তেলাওয়াতের অংশ হিসেবে বলে অথবা কেউ তেলাওয়াত শেষে উক্ত বাক্য না বলাতে তাকে তিরষ্কার করে তবে তা অনউচিত এবং এমন ধারণা পোষণ কার সঠিক নয়।