আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন যারা কুরবানি দিবে তাদের ত নক,দাঁড়ি,চুল কাটা নিষেধ।

১-এখন যদি কেউ চুল কাটে তাহলে কি গুণাহ গার হতে হবে??

২-কুরবানি কি হবে না তাহলে??

৩-শেয়ারে কুরবানি দিতে হলে কি সবার নিয়ত ই সহী হতে হবে? এবং সবার টাকা ই হালাল হতে হবে??

অনেক ক্ষেত্রে ত নিয়ত কার কি তা বুঝা যায় না!এক্ষেত্রে করণিয় কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন যারা কুরবানি দিবে তাদের জন্য এবং যারা কুরবানি দিবেনা তাদের জন্যও নক,দাঁড়ি,চুল না কাটা মুস্তাহাব।সুতরাং কাটলে কোনো গোনাহ হবে না।

(২) কুরবানি হবে।


(৩)
শেয়ারে কুরবানি দিতে হলে সবার নিয়ত ই সহীহ হতে হবে এবং সবার টাকা-ই হালাল হতে হবে।


https://www.ifatwa.info/18148 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অনেক ক্ষেত্রে নিয়ত কার কি? তা বুঝা যাবে না বলেই একা কুরবানি দেওয়া যদিও বকরি দ্বারা হোক না কেন? তা উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...