আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
السلام عليكم ورحمه الله وبركاته
১)মুহতারাম মুফতী সাহেব, আমার আব্বু-আম্মু যাকাতের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন না (কৃপণতার কারনে নয়,গাফলতির কারনে,বুঝের অভাবে)।বিগত অনেক বছরেই তো তাদের উপর যাকাত থাকার কথা....

এখন বিগত বছর গুলোর আদায় না যাকাতের হিসাব কিভাবে করবে(বাহ্যিকভাবে তো হিসাব টা খুব কঠিন লাগছে আমার)?
এ বিষয়ে বিস্তারিত করনীয় সহজ সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিলে খুবই উপকার হয়......

২)সুরা ইখলাখ ১০ বার পড়লে জান্নাতে একটা প্রাসাদ বানানো হয়।এ বিষয়ে কোনো হাদিস আছে কিনা?

৩)আমি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। পাশাপাশি,
অনলাইনে নাহদাতুল উম্মাহ অনলাইন একাডেমিতে তিন জন মাওলানা সাবের কাছে আরবি ভাষা শিখছি কুরআন ও হাদিস বোঝার নিয়তে....পরবর্তীতে কোনো অফলাইন মাদরাসায় ভর্তি হয়ে দাওরা দেবার নিয়ত আছে.....পর্যায়ক্রমে ইন শা আল্লাহ
মিফতাহুল উলুম অনলাইন মাদ্রাসাতে চট্টগ্রামের একজন আলিম ডা.মছিহ উল্লাহ(ডাক্তার+আলিম) উনার ততত্তাবধানে ফরজে আইন ইলম কোর্স (২বছর ব্যাপী) শিখছি।

আমি কি তালিবুন ইলম হিসেবে বিবেচিত হব ইন শা আল্লহ?
৩)আপনারা এর আগে বলেছিলেন, মাওলানা সাদ সাহেব হকপন্থী আলিম।
ক)এক্ষেত্রে তাবলীগের মেহনতে যারা সাদ সাহেবের অনুসরণ করে চলে,তারা কি বাতিল?

খ) অনেক আলিম সাদপন্থীদের গোমরাহ বলে,আলিমহীন জামাত বলে,অথচ কয়েক হাজারের বেশি আলিম তো আছেনই সাদ সাহেবের পক্ষে......
এ বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই.....

1 Answer

0 votes
by (714,120 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিগত বৎসগুলোর যাকাত বলতে যদি আপনাদের একুরেট হিসাব করা সম্ভব হয় এভাবে যে,২০০৪ ইংরেজিতে আপনাদের পূর্ণ সম্পত্তি ছিল দশ লাখ, এবং ২০০৫ ইংরেজিতে আপনাদের পূর্ণ সম্পত্তি ছিল বার লাখ, তাহলে আপনারা এভাবেই যাকাত দিবেন।আর যদি একুরেট হিসাব সম্ভব না হয়, তাহলে অনুমানের উপর বিত্তি করেই আপনারা যাকাত দিবেন। কমবেশ হওয়ার জন্য আপনার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনাদের যাকাতও কবুল করবেন এবং আপনাদের ক্ষমা করেও দিবেন।


(২)
সুরা ইখলাছ ১০ বার পড়লে জান্নাতে একটা প্রাসাদ বানানো হয়।
এরকম কোনো হাদীস বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হিসেবে আমরা খুজে পাইনি।


(৩)
জ্বী,আপনি তা'লাবুল ইলম হিসেবে বিবেচিত হবেন।

কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে এই হাদীস লক্ষ্যণীয়।

হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

সাদ সাহেব হক না বাতিল?  সে প্রশ্ন না করে বরং তাকলীগ করলে কিভাবে উম্মতের ফায়দা হবে? নিজের ঈমান আ'মল সংশোধন হবে? 
সে প্রশ্নের দিকেই অগ্রসর হওয়া উচিৎ।

কাউকে হক বলা বা কাউকে বাতিল বলা নিছক ধারণার উপর নির্ধারিত।সুতরাং সা'দ সাহেব সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করলে, এটা নিছক ধারণার উপরই নির্ধারিত হবে।
এভাবে আমরা নিজের ধারণা দ্বারা হক বাতিলের সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...