ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিগত বৎসগুলোর যাকাত বলতে যদি আপনাদের একুরেট হিসাব করা সম্ভব হয় এভাবে যে,২০০৪ ইংরেজিতে আপনাদের পূর্ণ সম্পত্তি ছিল দশ লাখ, এবং ২০০৫ ইংরেজিতে আপনাদের পূর্ণ সম্পত্তি ছিল বার লাখ, তাহলে আপনারা এভাবেই যাকাত দিবেন।আর যদি একুরেট হিসাব সম্ভব না হয়, তাহলে অনুমানের উপর বিত্তি করেই আপনারা যাকাত দিবেন। কমবেশ হওয়ার জন্য আপনার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনাদের যাকাতও কবুল করবেন এবং আপনাদের ক্ষমা করেও দিবেন।
(২)
সুরা ইখলাছ ১০ বার পড়লে জান্নাতে একটা প্রাসাদ বানানো হয়।
এরকম কোনো হাদীস বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হিসেবে আমরা খুজে পাইনি।
(৩)
জ্বী,আপনি তা'লাবুল ইলম হিসেবে বিবেচিত হবেন।
কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে এই হাদীস লক্ষ্যণীয়।
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)
সাদ সাহেব হক না বাতিল? সে প্রশ্ন না করে বরং তাকলীগ করলে কিভাবে উম্মতের ফায়দা হবে? নিজের ঈমান আ'মল সংশোধন হবে?
সে প্রশ্নের দিকেই অগ্রসর হওয়া উচিৎ।
কাউকে হক বলা বা কাউকে বাতিল বলা নিছক ধারণার উপর নির্ধারিত।সুতরাং সা'দ সাহেব সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করলে, এটা নিছক ধারণার উপরই নির্ধারিত হবে।
এভাবে আমরা নিজের ধারণা দ্বারা হক বাতিলের সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না।জাযাকুমুল্লাহ।