بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র
কালামে ইরশাদ করেন,
ﻟَّﺎ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ
ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭﻥَ
অর্থাৎ যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে(কুরআনকে) স্পর্শ
করবে না।(সূরা ওয়াক্বিয়াহ-৭৯)
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ
رَسُولُ اللَّهِ ﷺ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ
أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেন, রাসূল ﷺ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে
চিঠি লিখেছিলেন যে,
পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”।
(মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার ২০৯, আল মুজামুস
সাগীর ১১৬২, সুনানে
দারেমী ২২৬৬ মুয়াত্তা মালিক ৬৮০, কানযুল উম্মাল ২৮৩০,আল মুজামুল কাবীর ১৩২১৭)
عن عبد الله
بن عمر أن رسول الله ﷺ قال:لا يمس القرآن إلا طاهر
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ
পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। (মাযমাউজ যাওয়ায়েদ ৫১২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেই কিতাবে অন্যান্য লিখার তুলনায় কুরআনের আয়াত বেশী লিখা থাকে,তা অযু ছাড়া
স্পর্শ করা জায়েজ নেই। আর যদি অন্যান্য লিখাই বেশি থাকে,তাহলে অযু ছাড়া
স্পর্শ জায়েজ হলেও এমতাবস্থায় যে সকল স্থানে কুরআনের আয়াত অঙ্কিত রয়েছে,সরাসরি ঐ স্থানে
বিনা অজুতে স্পর্শ করা জায়েয হবে না।