জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মান্নত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি; মান্নতের প্রতি নয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-
بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ ؛ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَّى الصَّدَقَةَ
“তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না”। (বাইহাকী ৭৩৭৪)।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন-
أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ
রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মান্নত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মান্নত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মান্নতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ৪৩২৫)।
★মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।
وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]
তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত মান্নত অবশ্যই আদায় করতে হবে।
এখানে উক্ত বাচ্চাটি আকিকা করতে হবে।
সেটি বড় হলে,কুরবানী দেওয়ার মতো উপযুক্ত হলে,সেটি জবাই করতে হবে।
,
এখন বিষয় হলো এর গোশত কি খাওয়া যাবে?
নাকি ফকির মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে?
সেক্ষেত্রে জানার বিষয় হলো উক্ত ব্যাক্তি আকীকা দ্বারা কি উদ্দেশ্য নিয়েছিলো?
স্বাভাবিক আকীকা?
নাকি প্রকৃত পক্ষে যেটি মান্নত বলা হয়, সেটি?
অর্থাৎ তার কি উদ্দেশ্য ছিলো যে এর গোশত পুরাটাই ফকির মিসকিনকে দিয়ে দিবে?
আরো স্পষ্ট করছিঃ
এক,
মান্নতটি করা দ্বারা উদ্দেশ্য ছিল, স্বাভাবিক আকীকা। অর্থাৎ তার নিজ সন্তানের আকীকা এ পশু দ্বারা আদায় করা। আকীকা করে সেটির গোস্ত গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেবার উদ্দেশ্য ছিল না।
দুই,
মান্নত দ্বারা হাকীকী মান্নত উদ্দেশ্য ছিল। তথা আকীকা করে এর গোস্ত গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেয়া মাকসাদ ছিল।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ১ম প্রকারের নিয়ত হয়,তাহলে এর গোশত খাওয়া যাবে।
আর যদি ২য় প্রকারের নিয়ত হয়,তাহলে এর গোশত ফকির মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে।
মান্নতের ব্যাপারে আরো মাসয়ালা জানুনঃ