জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এ সংক্রান্ত কোনো হাদীস পাইনি।
,
(০২)
না,তার এই নামাজ কাজা পড়তে হবেনা।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হানাফি মাযহাব মতে মহিলাদের উপর ঈদের নামাজ সুন্নাত নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عبد الله بن سويد الأنصاري عن عمته امرأة أبي حميد الساعدي : أنها جاءت النبي صلى الله عليه و سلم فقالت : يا رسول الله صلى الله عليه و سلم إني أحب الصلاة معك فقال : قد علمت أنك تحبين الصلاة معي و صلاتك في بيتك خير من صلاتك في حجرتك و صلاتك في حجرتك خير من صلاتك في دارك و صلاتك في دارك خير من صلاتك في مسجد قومك و صلاتك في مسجد قومك خير من صلاتك في مسجدي فأمرت فبني لها مسجد في أقصى شيء من بيتها و أظلمه فكانت تصلي فيه حتى لقيت الله عز و جل
আব্দুল্লাহ বিন সুয়াইদ আল আনসারী রাঃ তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুমাইদ আস সায়িদী এর স্ত্রী রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বললেনহে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আমি আপনার সাথে নামায পড়তে পছন্দ করি। তখন নবীজী সাঃ বললেন-আমি জেনেছি যে, তুমি আমার সাথে নামায পড়তে পছন্দ কর। অথচ তোমার একান্ত রুমে নামায পড়া উত্তম তোমার জন্য তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়া উত্তম তোমার বাড়িতে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বাড়িতে নামায পড়া উত্তম তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়া উত্তম আমার মসজিদে [মসজিদে নববীতে] নামায পড়ার চেয়ে। তারপর তিনি আদেশ দিলেন তার গৃহের কোণে একটি রুম বানাতে। আর সেটিকে অন্ধকারচ্ছন্ন করে ফেললেন। তারপর সেখানেই তিনি নামায পড়তেন মৃত্যু পর্যন্ত।
সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৯,
ইলাউস সুনান-৩/২৬।
হানাফি মাজহাব মতে, যদি কোনো নারী ঈদের নামাজ পড়ে তবে তা নফল হবে। আর নফল নামাজ জামাআতে পড়া মাকরূহ। সুতরাং ফেতনার আশংকায় নারীদের ঈদের নামাজ আদায় করাও মাকরূহ।
,
★তবে অন্যান্য কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি জায়েজ আছে।
সুতরাং তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
আপনি সেই মতানুসারি হলেও আপনাকে ঈদের নামাজ কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
(০৩)
ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা মাকরুহ।
অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৪(
হ্যাঁ আমাদের দেশ অনুযায়ী ধরতে হবে।
,
হায়েজগ্রস্থা হলে তাকবির জরুরি নয়,তবে চাইলে প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে মুখে মুখে বলতে পারেন।