জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারার মাধ্যমেই করবে।
ইস্তেখারার দোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে। তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।
যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়ে,,,
দোয়াটি বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইস্তেখারা করাটি মুবাহ তথা বৈধ আমল।
এটি জরুরি কোনো আমল নয়।
এক্ষেত্রে যদি কোনো কারন বশত নামাজ পড়া না হয়,সেক্ষেত্রে শুধু দোয়া পড়বে।
,
ولو تعذرت علیہ الصلاة استخار بالدعاء اہ ملخصا.(الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 2/ 471،ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ
যদি নামাজ পড়া কষ্টকর হয়,সেক্ষেত্রে শুধু দোয়া পড়বে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাত্রি নামাজ না পড়ে শুধু দোয়া পড়তে পারে,অযু করে দোয়া পড়ে কাহারো সাথে কথা না হলে এই ঘুমিয়ে যাবে।
,
অন্য কাহারো মাধ্যমেও ইস্তেখারা করাতে পারে,তবে এটি সুন্নাহ নয়।
সুন্নাহ হলো নিজে আমল করা।