দর্শনশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, কালাম শাস্ত্র অধ্যায়ন ও চর্চা করার বিধান সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মাঝে কয়েক রকমের মতামত পাওয়া যায়।
এক, হারাম।
দুই, শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ।
قال ابن عابدين: هو منطق الإسلاميين الذي مقدماته قواعد إسلامية فلا وجه للقول بحرمته.
সারমর্মঃ এই বিদ্যা শিক্ষা অর্জন হারাম হওয়া নিয়ে কোনো কথার দরকার নেই।
وقال صاحب منح الجليل: ومما يتوقف العلم الشرعي عليه
এই ইলমের উপর শরয়ী ইলম মওকুফ থাকে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
দ্বীনের উপর মজবুতির সহিত আমল,উলামায়ে কেরামদের সাহচর্য এ থাকা, আকীদা ঠিক থাকা ইত্যাদির পর হক্কানী উলামায়ে কেরামদের লিখিত এ সংক্রান্ত কিতাব,বই পড়া যাবে।
শর্ত হলো কোনোভাবেই যেনো আকীদা নষ্ট না হয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
কিছু মুহাক্কিক গন বলেছেন,
ইসলাম সর্বকালে, সর্ব যুগে, সর্ব সময়ে বিজয়ী। দুনিয়াতে আলো যেমন আছে, তার বিপরীতে আছে অন্ধকার। সুখ যেমন আছে, তার বিপরীতে আছে কষ্ট। সত্য যেমন আছে, ঠিক তেমনি আছে মিথ্যাও। অন্ধকার যেমন কখনো আলোর স্থান পায় না, দুঃখ যেমন কোনভাবেই সুখের সাথে মিলে না, ঠিক সেভাবে মিথ্যাও কখনো সত্যের উপরে বিজয়ী হতে পারে না। সত্য সত্যই। এবং যা মিথ্যা, তা সবসময়ই মিথ্যা। মিথ্যা তার স্বভাবগতভাবেই মিথ্যা এবং সত্য তার সহজাত কারণেই সত্য। তবুও, জগতে আলো-অন্ধকারের মতো, সত্য-মিথ্যার একটা লড়াই বিরাজমান ছিলো, বিরাজমান আছে, এবং শেষদিন পর্যন্ত এই লড়াই বহাল থাকবে। মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়া সূর্য যেমন তার সমস্ত তেজের বিকিরণ ঘটিয়ে মেঘ ফুঁড়ে বের হয়ে আসে, ঠিক সেভাবেই সত্য সর্বদা বিজয়ী হয়ে প্রস্ফুটিত হয়। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে দেয় তার দীপ্তিময় আলোকমালা।
এই ইসলামের বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষী গন কিছু অহেতুক প্রশ্ন করে থাকেন,অবান্তর যুক্তি পেশ করে থাকেন,যেগুলোর জবাব জানা,শেখা কোনোটাই নাজায়েজ নয়।
তবে এর জন্য হক্কানী উলামায়ে কেরামদের সংস্পর্শে থেকে,বা এই হক্কানী উলামায়ে কেরামদের লিখিত কিতাব বা তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য ব্যাক্তিদের বই পড়ে এই বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা প্রয়োজন।