আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
469 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার কিছু পোষ্য বিড়াল আছে, আমি বিড়ালের ব্যবসা করতে আগ্রহী।
এমতাবস্থায় আমি শুনতে পাই বিড়াল ব্যবসা করা হারাম। আরো  জানতে পারি যে, বিড়াল নাকি কেনাবেচা করা ইসলামের  দৃষ্টিতে নাজায়েজ বিষয়টার সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


এই বিষয় নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
হানাফি মাযহাব মতে বিড়াল বিক্রয় জায়েজ,তবে তার আমদানী খাওয়া করা মাকরুহে তানযিহি। 
     
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ، وَالسِّنَّوْرِ، قَالَ زَجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ

وَالنَّسَائِيُّ وَزَادَ: إِلَّا كَلْبَ صَيْدٍ

আবূ যুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাবির (রাযিঃ) এর নিকট কুকুর ও বিড়ালের মূল্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন।”[সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ [3907] অধ্যায়ঃ ২৩।
ইমাম নাসায়ী রহঃ অতিরিক্ত করেছেন যে শুধুমাত্র শিকারী কুকুরের মূল্য জায়েজ আছে।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَالسِّنَّوْرِ .

জাবির ইবনে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, “নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুর ও বিড়ালের বিক্রয় মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।” [সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়) অনুচ্ছেদ-৬৪, বিড়াল বিক্রয় মূল্য সম্পর্কে, হা/৩৪৭৯-সহিহ]
,
عن جابر رضی اللہ عنہ أن النبي صلی اللہ علیہ وسلم نہی عن أکل الہرّة وأکل ثمنہا (مشکاة: ۳۶۱)
 قال في المرقاة أکل لحم الہرّة حرام بلا خلاف وأما بیعہا وأکل ثمنہا فلیس بحرام بل ہو مکروہ (مرقاة)

সারমর্মঃ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে বিড়ালের গোশত খাওয়া সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
তবে সেটা বিক্রয় করা,তার মূল্য খাওয়া হারাম নয়।
বরং মাকরুহ।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এটা হানাফি মাযহাব এর মত। 
তবে এক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারগন মতবিরোধ করেছেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই।             

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...