আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
634 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমার স্বামী পরনারীর প্রতি আসক্ত। বিয়ের এক বছর পরেই (২০১৯) তা প্রকাশ পায় আমার সামনে। আমি তাকে কথা বলা অবস্থায় দেখে ফেলি। আমি আমার শাশুড়িকে জানাই ব্যাপারটা। তিনিও গায়ে লাগান না।
আমার স্বামী ফেসবুকে কথা বলেন, ও চ্যাট ডিলিট করে দেন। একদিন তাকে আমি হাতে নাতে ধরে ফেলি। কারণ জানতে চাইলে সে বলে,
" দেন মোহরের টাকা দিতে পারব না, তাই তোমাকে ডিভোর্স দিব না। আর আমি অন্য মেয়েদের সম্পর্কও ত্যাগ করব না। যদি থাকতে হয় তাহলে এসব মেনে নিয়েই থাকতে হবে। নাহলে চলে যাও।'
এই অবস্থায় আমার করণীয় কি.? শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে!
- এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্নটি করা।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
(সুরা নুর ৩০)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
  
★প্রশ্নে উল্লেখিত স্বামীর কাজ স্পষ্ট হারাম।
এক্ষেত্রে উক্ত বোনের করনীয় হলোঃ 
বুদ্ধিমত্তার সাথে তাকে ধীরে ধীরে এ অন্যায় থেকে ফিরিয়ে আনবে। তাকে সন্দেহ বা দুর্ব্যবহারের চেয়ে কৌশলে ফিরিয়ে আনাই অধিক কার্যকর।

তার সাথে ভালো আচরণ করতে হবে।
স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য যৌন আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীকে স্বামীর যৌন চাহিদার প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। তাকে যৌন চাহিদা ও পরিতৃপ্তির উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। 
সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে চেষ্টা করতে হবে
আপনার স্বামীকে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে পাঠাতে পারেন।
,
কোনো কিছুতেই কাজ না হলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি আর তার সাথে ঘর সংসার করতে না চায়,তাহলে খোলা তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করাতে পারবে    

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَن يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ [٢:٢٢٩]

আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে।
কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে,তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে,তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়,তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে,তারাই জালেম। [সূরা বাকারা-২২৯]

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...