আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
বর্তমানে নাকি শুধুমাত্র জিহাদের মাধ্যমে দাস-দাসী বানানো সম্ভব। এই কথাটা কতটুকু সত্য?

একটা ছেলে তার এলাকার একটা মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পড়াতো। পড়ানোর বিনিময় হিসেবে ছেলেটা মেয়েটাকে বলেছিল মেয়েটা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় তাহলে মেয়েটা তার দাসী হয়ে যাবে।মেয়েটা কিছু না বুঝে ছেলেটার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়।পরবর্তীতে মেয়েটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। এবং ছেলেটা নিজেকে মেয়েটার মনিব হিসেবে দাবি করে।উল্লেখ্য যে মেয়েটা একজন স্বাধীন মুসলমান নারী।এক্ষেত্রে কি মেয়েটা আসলেই ওই ছেলেটার দাসী?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻓَﺈِﺫﺍ ﻟَﻘِﻴﺘُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻓَﻀَﺮْﺏَ ﺍﻟﺮِّﻗَﺎﺏِ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺛْﺨَﻨﺘُﻤُﻮﻫُﻢْ ﻓَﺸُﺪُّﻭﺍ ﺍﻟْﻮَﺛَﺎﻕَ ﻓَﺈِﻣَّﺎ ﻣَﻨًّﺎ ﺑَﻌْﺪُ ﻭَﺇِﻣَّﺎ ﻓِﺪَﺍﺀ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻀَﻊَ ﺍﻟْﺤَﺮْﺏُ ﺃَﻭْﺯَﺍﺭَﻫَﺎ ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﺸَﺎﺀ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎﻧﺘَﺼَﺮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻭَﻟَﻜِﻦ ﻟِّﻴَﺒْﻠُﻮَ ﺑَﻌْﻀَﻜُﻢ ﺑِﺒَﻌْﺾٍ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻀِﻞَّ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟَﻬُﻢْ

তরজমাঃ-অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।(সূরা-মুহাম্মদ,০৪)

(০১)
দাসে পরিণত করার অনুমতি ততক্ষণ যতক্ষণ শত্রুপক্ষের সাথে এর বিপরীত কোন চুক্তি না থাকে।যদি শত্রুপক্ষের সাথে চুক্তি হয়ে যায় যে,তারা আমাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করবে না এবং আমরাও তাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করব না,তবে এই চুক্তি মেনে চলা অপরিহার্য হবে।বর্তমান যুগে বিশ্বের অনেক দেশ এরূপ চুক্তিতে আবদ্ধ আছে।কাজেই যেসব মুসলিম দেশ এই চুক্তিতে সাক্ষর করেছে তাদের জন্য চুক্তি বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত কোন বন্দীকে দাসে পরিণত করা বৈধ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ 

(০২)
না এক্ষেত্রে মেয়েটা ঐ ছেলেটার দাসী কোনোভাবেই নয়।
উক্ত মেয়ে তার জন্য গায়রে মাহরাম।
তাদের পর্দা করা ফরজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...