ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঋণ বা দেনা, যদি আপনার থাকে অর্থাৎ আপনি ঋণ করে থাকেন, তাহলে আপনি কুরবানি না দিয়ে বরং প্রথমে দেনা আদায় করবেন। আর যদি ঋণ আপনার স্বামীর হয়ে থাকে, এবং এ ১৪ হাজার ব্যতিত আপনার নিকট নেসাব পরিমাণ সম্পত্তি থাকে, চায় অক্রমবর্ধমান-ই হোক না কেন? আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব, সুতরাং আপনি এই ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কুরবানি দিবেন। আর যদি আপনার নিকট নেসাব পরিমাণ মাল না থাকে, তাহলে আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। সুতরাং তখন আপনি চাইলে উক্ত ১৪ হাজার টাকা নিজ প্রয়োজনে খরচ করতে পারবেন, অথবা স্বামীর দেনা পরিশোধ বাবৎ দিতে পারেন কিংবা নফল হিসেবে কুরবানিও দিতে পারেন।
(২) আফিফা ফালাক্ব রেখে দিতে পারেন। ডাকার সময় যদি কেউ ফালাক ডাকে, তাহলে এতে কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া ফালাক অর্থ হল, রেখা, আসমানের কক্ষপথ ইত্যাদি। তাও তেমন খারাপ না। আর ফালাক্ব অর্থ হল, প্রভাত।
(৩) বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু করা। উক্ত আ’মল গুলো মূলত নিজে নিজে করাই বেশী সওয়াব। হ্যা, অন্যকে দিয়েও করানো রুখসত রয়েছে। তবে মিলাদ কিয়াম করা বিদআতও পরিত্যাজ্য।
(৪) জ্বী, গোনাহ হবে।
(৫) আপনি যদি উক্ত ওয়েব সাইটে সরাসরি হারাম কোনো কাজ না করেন, তাহলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। যেমন ছবি সংযোজন, মিউজিক সংযোজন ইত্যাদি, এগুলো যদি আপনি সরাসরি না করেন, তাহলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। এবং ইনকামও হারাম হবে না। চায় কাজটি বিধর্মীর হোক না কেন?