বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দুই রাকাতি নামাযে যদি কেউ প্রথম রাকাতেই বসে যায়,এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে তার স্বরণে আসে,তাহলে সে দাড়িয়ে যাবে,এবং আরো এক রা'কাত পূর্ণ করে অতঃপর নামাযের শেষে সাহু সিজদা দিয়ে নামাযকে সমাপ্ত করবে।
(২)
https://www.ifatwa.info/5939 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,নামাযে তিন তাসবীহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১)
সুতরাং আপনি যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় নিশ্চুপ দাড়িয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
তথায় আমরা বলেছিলাম যে,
যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না। কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮)
(৪)সাহু সিজদাতে ভূল হয়ে গেলে আবার সাহু সিজদা দিতে হবে না। কেননা এক নামাযে কয়েকটা সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়না।